
ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি)র। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান ঘটানো বীরেরা আছেন এই দলের নেতৃত্বে। এরপর পেরিয়েছে কয়েকদিন। কী করছেন নতুন রাজনৈতিক দলের নেতারা। দলীয় কার্যালয়ের জন্য এলাকা বাছাই, লগো তৈরি, গঠনতন্ত্র তৈরি, কমিটি বৃদ্ধিসহ নানা সাংগঠনিক কাজ সস্পন্ন করছে এনসিপির নেতারা। নতুন এই দলের নেতার বলছেন, রোজার মাসে তারা ইসির নিবন্ধন সংক্রান্ত কাজ করবেন। আগামী ২৬ মার্চ ঘিরে থাকবে অনুষ্ঠান।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, দেশের সব বড় আন্দোলনগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্র-জনতার তরুণ অংশকে কানেক্ট করার জন্য এই এলাকাটা খুব সিগনিফিকেন্ট।
তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষনা দেওয়ার। কিন্তু নানান প্রতিকূলতার কারণে হয়ে উঠে নাই। তবে রাজনৈতিক যে কর্মসূচিগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিব। আমাদের দেশে অসংখ্য মানুষ আছে, যারা নাগরিক কমিটির সাথে কাজ করতে চায়। তাদেরকেও এই সুযোগটা দিতে হবে। আর যারা পলিটিক্যাল পার্টিতে যেতে চান। তারা পার্টিতে চলে আসবেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস আমরা পালন করবো। আর রোজায় একটা ইফতারের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর আমাদের সাংগঠনিক কিছু কর্মকান্ড আমরা এই রোজার মাসে শেষ করতে চাই। যেন আমরা ঈদের পর পুরোদমে মাঠে নামতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের যে ২১টি জেলায় অফিস থাকতে হয়। সেটা যেন আমরা অর্জন করতে পারি। তার প্রস্তুতিটা আমরা রোজার মাসে নিয়ে নেব। নির্বাচন পর্যন্ত আমরা এই কমিটিকেই চালিয়ে নেব। বিভিন্ন জায়গায় কমিটি দেওয়ার কথা চলছে। জাতীয় নাগরিকের কমিটির যে কমিটি ছিল প্রায় ৩৫০ জনের মতো এগুলোকে আমরা মাইগ্রেট করবো। কারণ এই কমিটিগুলো মূলত রাজনৈতিক দল করার আকাঙ্ক্ষা নিয়েই মূলত এখানে যুক্ত হয়েছে।
সারোয়ার তুষার বলেন, আগামী নির্বাচনে যারা জয়ী হবে তারা গণপরিষদ গঠন করবে। এখানে যারা সংবিধান প্রণয়ন করবে অথবা সংবিধান সংস্কার করবে। যে প্রস্তাবগুলো এসেছে তার মধ্যে থেকে সংস্কার করবে। ১২০ দিন থেকে ২৪০ দিনে মধ্যে তা শেষ করতে হবে। আর তখন ঐ বডিটাই নিজেদেরকে পার্লামেন্ট হিসেবে ঘোষনা করবে।
শহীদ