ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

নেতৃত্বে সিনিয়রিটির ঘাটতি থাকলেও অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই পরিপক্ক হবে:ব্যারিস্টার ফুয়াদ

প্রকাশিত: ০২:০২, ৩ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০২:৩৪, ৩ মার্চ ২০২৫

নেতৃত্বে সিনিয়রিটির ঘাটতি থাকলেও অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই পরিপক্ক হবে:ব্যারিস্টার ফুয়াদ

তরুণদের দলের সুবিধা এবং অসুবিধার জায়গা আছে।সুবিধার জায়গা হচ্ছে তাদের উদ্দীপনা, উচ্ছ্বাস, বয়স। এবং সবাই একই টাইপের হওয়ার কারণে যেটা হয়েছে নেতৃত্বের যে সিনিয়রিটি দরকার, মুরুব্বি দরকার, অনেক সময় দরকার হয় নেগোশিয়েট করবার জন্য- সেই জায়গাটা তাদের একটা ঘাটতির জায়গা আছে বলে মনে করছেন ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
এক টকশোতে নতুন দল ও নতুন দলের তারুণ্যের আধিক্য কি শক্তি নাকি আবার প্রবীণের যে অভিজ্ঞতা সেখানে এটা মিসিং থাকছে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে মন্তব্য করেছেন ফুয়াদ। 


তিনি বলেন,“বাংলাদেশের ইতিহাসে তরুণরা মিলে মূল দল করেছে এমন ঘটনা এটা তৃতীয়।প্রথম ঘটনা হচ্ছে আপনার জাসদ। ৭২ সালে ছাত্রলীগ ভেঙে শেখ মুজিব কোন স্প্লিন্টে যাবেন না যাবেন এটাকে ঘিরে আপনার সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে সবচেয়ে ডায়নামিক যে সেকশন এবং মুক্তিযুদ্ধ ফেরত জনগোষ্ঠী তারা বনাম হচ্ছে এই মুজিববাদী দর্শনের যারা প্রবক্তা শেখ মনি, এই দুই গ্রুপের ভিতরে যে স্প্লিন্টার হয়ে গেল সেটাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ দুই ভাগ হয়ে গেল।”


তিনি বলেছেন,“কনভেনশন দেয়া হয়েছিল পার্টি কনভেনশনে কোনটাতে শেখ মুজিব যাবেন তো শেখ মুজিব আসলে শেখ মনির স্প্লিন্টে গেছেন। তো সেই জায়গাতে বাকিরা আলাদা হয়ে যাসদ নামক সংগঠন তৈরি করে তরুণদের দ্বারা। এবং তার বেনিফিট কি হয়েছে রেজাল্ট কি হয়েছে সেটা আমরা ৭২ থেকে ৭৫ এ দেখেছি, শেখ মুজিবকে সশস্ত্রভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে যারা চ্যালেঞ্জ করেছে তারা ছিলেন জাসদ।”


 ফুয়াদ জানান,“ভারতীয় হাই কমিশন পর্যন্ত তারা রেইড করেছে। ওখানকার হাই কমিশনের কর্মকর্তারা আহত হয়েছে, ডেপুটি হাই কমিশনারকে কিডন্যাপ করেছেন, অবরুদ্ধ করে রেখেছেন এবং জাসদের নেতৃবৃন্দ খুনও হয়েছেন। ১০-১৫ জন যাবজ্জীবন জেলও খেটেছেন। তো সেই বাস্তবতায় জাসদ কিন্তু বাংলাদেশের এত উদ্দীপ্ত একটা রাজনৈতিক তারুণ্যের দল ছিল। কিন্তু তারা ক্ষমতায় আসতে পারে নাই। কিন্তু শেখ মুজিবের পতন কিন্তু তারা ঘটিয়েছে। শেখ মুজিব এমন একটা অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়েছে, দিনশেষে তাকে অ্যাসোসিনেটেড হতে হয়েছে ফুল ফ্যামিলি দিয়ে।”


তিনি বলেছেন, “দ্বিতীয়ত হচ্ছে তরুণদের দ্বারা মূল দল হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। ২০১৭-১৮ এর প্রেক্ষিতে কোটা বিরোধী আন্দোলন, যারা করেছেন তারা মিলে এই দলটা করেছে। তো সেটাও দুই তিনবার ভাগ হয়ে গেছে, আবার কোন কোন নেতারা মূল স্প্রিন্টে ফিরে এসেছেন এবং আজকের যারা জাতীয় নাগরিক কমিটির নেত্রীবৃন্দ আছেন তাদের অনেকের রাজনীতিতে হাতেখড়ি। কিন্তু কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে গণঅধিকার পরিষদ করেছেন সেখান থেকে অনেক নেতৃবৃন্দ পরবর্তীতে নতুন যে ছাত্র সংগঠন হয়েছে, তারপরে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে গেছেন।”


ফুয়াদ জানান, এই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় দল হচ্ছে তরুণদের দ্বারা মূল রাজনৈতিক দল ।প্রথম কথা হচ্ছে অভিনন্দন শুভেচ্ছার পাশাপাশি হচ্ছে তাদেরকে এই দীর্ঘ চ্যালেঞ্জের যে হিস্টরিক্যাল জায়গাটা আছে সেটা তাদেরকে বোঝা দরকার।

তিনি আরও বলেন, যে তাদের পূর্বপুরুষ যারা ছিলেন ওই প্রজন্মের তাদের কি চ্যালেঞ্জ ছিল? তারা কোথায় কোথায় ফেল করে? কি সিদ্ধান্ত ভুল ছিল এবং কোন কোন জায়গা থেকে তারা শিক্ষা নেয়।


ফুয়াদ বলেন,তরুণদের দলের সুবিধা এবং অসুবিধার জায়গা আছে।সুবিধার জায়গা হচ্ছে তাদের উদ্দীপনা, উচ্ছ্বাস। তারা চাইলে পাহাড়টাকে উল্টায় দিতে পারবে। তারা হিমালয়ের চূড়া থেকে আপনার জন্য গোলাপ নিয়ে আসতে পারবে। তারা বঙ্গোপসাগর পাড়ি, আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে চলে যেতে পারবে। 


সেই জায়গা থেকে তাদের এই উদ্দীপনা সাহসের জায়গা যেমন আছে, বয়স এবং সবাই একই টাইপের হওয়ার কারণে যেটা হয়েছে নেতৃত্বের যে সিনিয়রিটি দরকার, মুরুব্বি দরকার, অনেক সময় দরকার হয় নেগোশিয়েট করবার জন্য, সেই জায়গাটা তাদের একটা ঘাটতির জায়গা আছে। কিন্তু ফুয়াদ মনে করছেন যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই তারা পরিপক্ক হবে।

সূত্র:https://tinyurl.com/4wwyrvc7

আফরোজা

×