ছবি: সংগৃহীত।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে দেশের আলেম-ওলামারা চরম নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তবে ৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর ইসলামী দলগুলোর সংযমের কারণেই বড় কোনো অঘটন ঘটেনি।
এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, "দ্বীনের শিক্ষা সংকুচিত হলে সমাজে অন্ধকার বৃদ্ধি পায়। আমরা এমনই একটি সময় পার করেছি, যেখানে আলেম-ওলামাদের সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে। দেশের কারাগারগুলো আলেমদের দিয়ে পরিপূর্ণ করা হয়েছিল, অথচ দাগী অপরাধীরা অবাধে রাজপথে বিচরণ করেছে।"
তিনি জানান, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সিটিটিসির হেফাজতে ১৩ দিন রাখা হয়। পরে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে তিনি ৫ দিন বন্দি ছিলেন। এরপর তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, "অনেক আলেম-ওলামা দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। কেউ ১৪ মাস, কেউ ১০ মাস, কেউ ৮ মাস কারাবন্দি ছিলেন, সর্বনিম্ন কারাবাসের মেয়াদ ছিল আড়াই মাস। তারা জানতেন না, তারা কোথায় আছেন, এমনকি তাদের পরিবারও জানতে পারেনি তারা বেঁচে আছেন কি না।"
ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, "আলহামদুলিল্লাহ, সাড়ে ১৫ বছর পর পরিবর্তন এসেছে। ৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর দেশের ওলামা-একরাম, মাদ্রাসার ছাত্ররা, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির বিশেষভাবে সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রেখেছে। ইসলামী দলগুলোর সংযমের কারণেই ৫ আগস্টের পর বড় কোনো অঘটন ঘটেনি।"
তিনি বলেন, "আমরা আল্লাহকে ভয় করি, দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসি। তাই দেশের স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখার জন্য আমরা সংযম দেখিয়েছি।"
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=KT3q4OyaxKg&t=202s
সায়মা ইসলাম
