
বিএনপির বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা লড়াই করেছি, আমরা তো আওয়ামী লীগ করি নাই। আমরা মোকাবেলা করেছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের জীবন চলে যাবে, আমাদের গুম করা হতে পারে, আমাদের পঙ্গু করা হতে পারে, আমাদের স্ত্রী-সন্তানরা তাদের প্রিয়জনকে হারাতে পারে - এ কথা জানবার পরেও, আমাদের জীবন চলে যাবে জানবার পরেও আমরা লড়াই করেছি।”
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমাদের মুখ খোলাবেন না। মুখ খুললে কিন্তু অনেক কথাই আমাদের বলতে হবে। এমন কথা বলো কেন যা আমাদের উত্তর দিতে হয়?”
তিনি আরও বলেন, “কেউ কেউ বলে ওই বালির ট্রাক ছিল, তোমরা-আপনারা কি করেছেন? সবাই তাদেরকে চিনি। তাদের কাজ এখন একটাই সারাদিন বিএনপির বিরুদ্ধে লেখা। আপনাদের কেউ কেউ তো আমাদের সাথে জেলেও খেটেছে, এত বিএনপির বিরুদ্ধে লেগেছেন কেন?”
তিনি অভিযোগ করেন, “সারাক্ষণ এই নানা রকম ফেক আইডি নিয়ে তাদের কাজ হচ্ছে বিএনপির কোনো কিছু পাইলে বিএনপির বিরুদ্ধে লেখা। তাদের কানে কে যেন ঢুকিয়ে দিয়েছে, বিএনপির বিরুদ্ধে এগুলো লিখলে জামাত ক্ষমতায় চলে যাবে।”
তিনি বলেন, “আপনাদেরও তো একজন নেতা মারা গিয়েছিলেন। দেলোয়ার হোসেন সাঈদী শুধুমাত্র একজন জামাত নেতা না, একজন দেশবরেণ্য আলেম ছিলেন। ঠিক উনার লাশটাকে এই পর্যন্ত আপনারা রাখতে পারলেন না। এত বড় বড় কথা বলেন কেন? আমাদের মুখ খোলাবেন না বললে, মুখ খুললে কিন্তু অনেক কথাই আমাদের বলতে হবে।”
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কালকে মনে হয় নতুন পার্টি হয়েছে। মন থেকে চাই তরুণ ছেলেরা একটা মনের শখ দেখেছে, একটা রাজনীতি করার, করুক। কিন্তু কথাবার্তা গুলো তো একটু ভালোভাবে বলতে হবে। এমন কথা বলো কেন যা আমাদের উত্তর দিতে হয়?”
তিনি দাবি করেন, “কদিন ধরে তারা শুরু করেছে, ব্যানার ধরার নাকি পাঁচটা লোক আমাদের ছিল না। আরে বাবা, তোমরা আমাদের লোক দেখবা কখন? আমরা যখন মিছিল-মিটিং করেছি, সরকারের সকল অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে, তখন তো তোমরা অনেকেই ছাত্রলীগ করতা।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা পল্টনের কথা বাদ দিলাম, এই বিভাগীয় সমাবেশগুলো আমরা যা করেছি, তোমরা তোমাদের চর্মচক্ষু দিয়ে সারাজীবনে যত মানুষ দেখোনি, তার চেয়ে বড়, বেশি মানুষ আমাদের সেই সমাবেশগুলোতে ছিল।”
তিনি বলেন, “ভাই, তোমরা তো ছাত্রলীগ করতা নাকি জীবনের ভয়ে। আর আমরা আমাদের জীবন আমি সেদিনও বলেছি এক মিটিংয়ে,আমাদের জীবন চলে যাবে, আমাদের গুম করা হতে পারে, আমাদের পঙ্গু করা হতে পারে, আমাদের স্ত্রী-সন্তানরা তাদের প্রিয়জনকে হারাতে পারে - এ কথা জানবার পরেও, আমাদের জীবন চলে যাবে জানবার পরেও আমরা শেখ হাসিনার সেই গুন্ডা বাহিনীর সেই অস্ত্রের সামনে গান পয়েন্টে বুক পেতে দিয়েছি। আমরা লড়াই করেছি, আমরা তো আওয়ামী লীগ করি নাই।”
সূত্র:https://tinyurl.com/2s3erprh
আফরোজা