ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১

‘সেকেন্ড রিপাবলিক ও গণপরিষদ নির্বাচন’, কীভাবে দেখছে বিএনপি?

প্রকাশিত: ০১:২৩, ২ মার্চ ২০২৫

‘সেকেন্ড রিপাবলিক ও গণপরিষদ নির্বাচন’, কীভাবে দেখছে বিএনপি?

ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি নিউজ 24 এর আয়োজিত ‘জনতন্ত্র-গণতন্ত্র’ অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয় ‘‘নতুন রাজনৈতিক দল ও কিছু প্রশ্ন’’। এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন এবং নতুন যে রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)-র যুগ্ম আহবায়ক ডক্টর আতিক মুজাহিদ। 

শুরুতেই ব্যারিস্টার হেলাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, গতকাল যেই বক্তব্যটি রেখেছেন এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, ‘সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য’। এই কথা ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন ‘সেকেন্ড রিপাবলিক ও গণপরিষদ নির্বাচন’ শীর্ষক এই ঘোষণাকে কিভাবে দেখছেন?

জবাবে ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন বলেন,  প্রথমত আমি বলি যেকোনো পার্টির একটা ফিলোসফিক্যাল বা আইডোলজিক্যাল একটা স্ট্যান্ড থাকতেই পারে। এটা হয়তো উনাদের একটা রাজনৈতিক স্ট্যান্ড উনারা নিয়েছেন। এই স্ট্যান্ডটা একটা ধরেন, যে দেশের যেকোনো প্রচলিত পার্টি, উনারা এখন আমাদের সাথে জয়েন করেছেন। আমরা আমাদের পার্টির একটা এজেন্ডা থাকতেই পারে। একটা ম্যানিফেস্ট থাকতেই পারে।

কিন্তু এইটা আসলে কতটুকু আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো, এটা নির্ভর করবে জনগণ আমাদের উপর কতটুক আস্থা রাখছে বা আমাদের উপর কতটুক উনারা দায়িত্ব দিচ্ছেন। এখন উনারা যেটা চাচ্ছেন, গণপরিষদ উনারা যে রিপাবলিক করতেছেন, সেকেন্ড রিপাবলিক করতে চাচ্ছেন। ম্যানিফেস্টো, এটা নিয়ে উনারা মাঠে যাবেন, মানুষজনকে বুঝাবেন।

আমি ওইভাবে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যতটুকু আমি বুঝি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাবেন, পথে-প্রান্তে যাবেন, মানুষ যদি এটাতে কনভিন্স হয়, তাহলে পরবর্তীতে যখন নির্বাচন হবে, সেটার প্রতিফলন আমরা দেখতে পারবো। আমি আসলে আই এম নট ইন ফেভার অফ ডিবেটিং, দিস ইজ রাইট থিং অর রং থিং।

তিনি বলেন, যেকোনো রাজনৈতিক দলের দেশবিরোধী না হলে বা মানুষ বিরোধী না হলে, জনগণ বিরোধী না হলে, যেকোনো তাদের প্রপোজাল থাকতেই পারে বা একটা ম্যানিফেস্টো থাকতেই পারে। এবং সেটা অবশ্যই জনমত যাচাই হবে। উনারাও নিশ্চয়ই এটা ফিল্ড সার্ভে করবেন বা করেছেন আমি জানিনা। নিশ্চয়ই করবেন, যদি করে থাকেন, তাহলে তো অবশ্যই করেছেন।

তাহলে নিশ্চয়ই উনাদের এখন যেহেতু একটা স্ট্রাকচারড মানে প্লাটফর্মে উনারা এসেছেন। আগে তো হয়তো পলিটিক্যাল পার্টি ছিল না, এখন সেন্ট্রাল বডি হয়েছে, নিশ্চয়ই ওনারা আরো ডিসেন্ট্রালাইজ করবে। ওনাদের প্রান্তিক পর্যায়ে কিছু কাজকর্ম হবে। তখন ওনারা আরো বেশি মানুষের সাথে রিএক্ট করবে, রিএকশনে যাবে। ওনার পালস বুঝতে পারবে। আই থিংক ইটস এ গুড স্টার্টিং পয়েন্ট, দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত মানুষ উনাদেরকে কি বলে, উনারা মানুষের সাথে কিভাবে আদানপ্রদান হয়। তারপরে এটা, এইটা শেষ পর্যন্ত  উনাদের এজেন্ডা থাকে কিনা। 

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=7U2pVA7DDYI

মো. মহিউদ্দিন

×