
ছবিঃ সংগৃহীত
গতকাল (২৮ ফেব্রুয়ারি) সময় টেলিভিশনের সম্পাদকীয় এক টকশো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান ড.আসাদুজ্জামান রিপন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ড.আসাদুজ্জামান রিপন কে প্রশ্ন করেন যে,"অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতায় ঘাটতি কোথায় কোথায় দেখছে বিএনপি?" জবাবে-
ড.আসাদুজ্জামান রিপন ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতায় ঘাটতি বলতে, এক নম্বর যদি বলি যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো আমরা এরশাদ সাহেবকে দেখেছি। প্রায় নয় বছর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাকে নামিয়েছিলাম। তারপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসলো। ওটাও কিন্তু সংবিধানে ছিল না। তারপর, তিন মাসের মধ্যে একটা নির্বাচন হলো। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে গেল দেশ। তারপর আমরা সেই গণতন্ত্রকে সংহত করতে পারি সেটা ভিন্ন বিতর্ক। কিন্তু এইবার গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য
যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছিল, আইন উপদেষ্টা সাহেব বলেছিলেন যে, "অর্ধেক সংস্কার এক মাসের মধ্যেই করা সম্ভব"।
তিনি আরও বলেন যে, যদি গাণিতিক হিসেবে ধরে নেই যে, বাকি গুলো চার মাস সময় লাগবে। মানে অর্ধেক কাজ যদি হয়েই থাকে, তাহলে এতদিন সময় লাগার কথা না। ফলে যখন সময় লাগার কথা বলছে তখনই তো ন্যাচারালি অনেক প্রশ্ন আসে যে, দেশে ল এন্ড অর্ডার ঠিক নেই। সেনাবাহিনী প্রধান যে যৌক্তিক কথাগুলো বললেন, কথাগুলো তো উড়িয়ে দেওয়ার মতো না।
ড.আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ছাত্রদের একটি অংশ গ্রহনে যে আন্দোলনটা হলো, যেই আন্দলনে ছাত্র-শ্রমিক, কৃষক-জনতা, রাজনৈতিক দলগুলো সবাই সেখানে ছিল। পলিটিক্যাল পার্টি স্ট্রাটেজিক্যাল কারণে তারা তখন এডমিট করেন। যেহেতু হাসিনা বলছিলেন যে, জামাত-শিবির-বিএনপির একটা ব্যাক আন্দোলন হচ্ছে। আমরা চাচ্ছিলাম যে জনগণের আন্দোলন হচ্ছে, সবাই মিলে আন্দোলন করছে এবং আমরা বলছিলাম যে, এটা একটা মাস মুভমেন্ট। এটা বিএনপি-জামাতের আন্দোলন না, যেটা আমাদের কৌশলগত অবস্থা ছিল।
তিনি আরও বলেন যে, আমরা একটি দীর্ঘ ১৬ বছরের লড়াই করে সফল হয়েছি। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা যেমন ছিল, তেমনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের,ছাত্র ইউনিয়নের, শিবিরের এবং অন্যান্য বাম সংগঠনের ছেলেরাও আন্দোলন করেছে। ৫ই আগস্টের পরে এই সমস্ত মূল সংগঠনগুলোর ছাত্রকর্মীরা যার যার সংগঠনের ফোল্ডে চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা নতুন দল বানাবে, ভালো। গণতন্ত্রে তো নতুন দল বানাবার ব্যাপার আছেই। যাকে নিয়ে এত কথা, মিস্টার নাহিদ, তিনি ফাইনালি রিজাইন করেছেন। তিনি রাজনৈতিক দলে গেছেন, তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই, স্বাগত জানাই।
ইমরান