ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০১ মার্চ ২০২৫, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না

মান্না চাইলে ভূমিকম্প লাগাতে পারে

প্রকাশিত: ২৩:৫৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মান্না চাইলে ভূমিকম্প লাগাতে পারে

ছবি : সংগৃহীত

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, “মাহমুদুর রহমান মান্না যদি চায়, তাহলে শিবগঞ্জে ভূমিকম্প লাগাতে পারি। শেখ হাসিনা সরকার আমাকে গ্রেফতার করেছিল। ৪৮ ঘন্টা গুম করে রেখেছিল। অহংকার করছি না, দেমাক দেখাচ্ছি না। আমি মানুষকে ভালোবাসি, মানুষ আমাকে ভালোবাসে। আমার প্রতি যদি কোন অন্যায় হয়, মানুষ তার পক্ষে থাকবে আমি আশা করি। আমার বয়স এখন ৭৫। ৬০ বছরের মত রাজনীতি করি। ৬০ বছরে ৬০ সেকেন্ডের কোন দুর্নীতি, অর্থের কথা, বাংলাদেশের কেউ বলতে পারবে না। আমার ঈমানের জোর আছে। আমি অতীতে যা করেছি তা মানুষের সামনে আছে। সেই কারণেই বলেছি, আজ এখানে শিবগঞ্জে আমি এসে দাঁড়িয়েছি।”

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বগুড়ার শিবগঞ্জে শহীদ মীর মুগ্ধ স্কয়ারে উপজেলা নাগরিক ঐক্যের আয়োজনে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার সরকার আমাকে গ্রেফতার করেছিল। ৪৮ ঘন্টা গুম করে রেখেছিল। আমাকে ক্রসফায়ার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাদেরকে ক্রসফায়ার করবার জন্য বলেছে, তারাই নিজেদের মধ্যে বলেছে, ক্রসফায়ার করা ঠিক হবে না। মানুষ ক্ষেপে যাবে। তারা আমাকে নিয়ে সরাসরি ডিবির কাছে দিয়েছে। ওরা কোর্টে দিয়েছে, মামলা করবার চেষ্টা করেছে, দুই বছর ধরে আমার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ পুলিশ গঠন করতে পারেনি।

এবং তারপরে আমাকে বিনা বিচারে, বিনা দোষে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমার সেই ঈমানের জোর আছে বলেই আমি বলছি। আমি ঝগড়া-ঝাঁটি করবার জন্য কোন কিছু বলছি না। আজও আমি বলছি, কারো সাথে ঝগড়া করবার ইচ্ছা আমার নেই। এই দেখেন, শেখ হাসিনার সরকারকে সরাবার জন্যে ২০ দিনের মধ্যে, শেখ হাসিনা ১৫০০ এর মত মানুষকে হত্যা করেছে। ওই ১৫০০ মানুষ জীবন দিল কেন? ওই ১৫০০ মানুষ মনে করেছে, শেখ হাসিনার সরকার যদি চলে যায়, একটা ভালো সরকার যদি আসে, আমাদের ভালো হবে। কিরকম ভালো হয়? জিনিসের দাম কমতে পারে, রাস্তাঘাট সুন্দর হতে পারে, লেখাপড়ার ব্যবস্থা হতে পারে, আমাদের খাবারের ব্যবস্থা হতে পারে। সারা পৃথিবীর বহু গরীব দেশ, আমাদের চাইতে গরীব দেশ, এখন ভালো আছে।”

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “এই শিবগঞ্জকে আমি ভালোবাসি বলেই স্কুল জীবন থেকে বাইরে থাকলেও আবার শিবগঞ্জে আসছি রাজনীতি করতে। মনে করেছি, আমার যতটুকু যোগ্যতা আছে, তাই দিয়ে শিবগঞ্জের মানুষের জন্য কিছু কাজ করবো। এইখানে এরকম করে আমাদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি হবে এটা চাইনি, এখনো চাই না। কারা করলো? ওই এলাকার মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা নাই! ২০ কোটি টাকা খরচ করে সেইখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মারা দেবার সময় এই থানা প্রশাসন যারা চালায়, টিএনও, ওসি তারা ছিল না। দেখেনি, মুখের মধ্যে তালা দিয়েছেন। আমি কাউকে কাঠগড়ায় তুলছি না, কাউকে দায়ী করছি না। আমার বক্তব্য হলো, অন্যায় ভাবে অন্যকে কষ্ট যদি কেউ দেয়, তাহলে তাকে দোষী বলতে হবে। হয় তিনি শোধরাবেন, না হলে তার শাস্তি হবে।

পৃথিবীতে এমন কোন শক্তি হয়নি, গায়ের জোরে সারা দেশ, সারা দুনিয়াকে কবজার মধ্যে রাখবে। সবচাইতে বেশি শক্তিশালী ছিল বাংলাদেশে শেখ হাসিনা, কি না অন্যায় করেছে। শেষ পর্যন্ত পালাবার রাস্তা পায়নি।  যে অন্যায় করে, তার এই রকম পরিণতি হয়।”

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=vuZ8_Sge_KI

মো. মহিউদ্দিন

×