
ছবি : জনকণ্ঠ
বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য ও সংহতি বাড়াতে রমজানে বিশেষ রক্তদান কর্মসূচির আহ্বান জানিয়েছেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য।
তিনি এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “আগামীর বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান—সব ধর্মের সম্প্রদায়কে সামাজিকভাবে আরও কাছাকাছি আনতে হবে। আমাদের প্রচেষ্টার লক্ষ্য হবে সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সন্দেহ, অবিশ্বাস ও ক্ষোভ কমিয়ে আনা। এর জন্য প্রয়োজন বিশেষ উদ্যোগ, আর রমজান তেমনই একটি সুযোগ।”
রমজানে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সিয়াম সাধনায় ও ইবাদতে ব্যস্ত থাকেন। ফলে এই সময়ে রক্তদানের হার কমে যায়, যা চিকিৎসার জন্য গুরুতর সমস্যা তৈরি করে। কিন্তু জীবনের প্রয়োজন থেকে থাকেনা। রোগীদের চিকিৎসা লাগে, তাদের রক্ত লাগে।
পিনাকী ভট্টাচার্য মনে করেন, এই সংকট দূর করতে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান তরুণরা উৎসবমুখর পরিবেশে রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন করতে পারেন।
তিনি বলেন, “হিন্দু এলাকা, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় রক্তদান কর্মসূচি চলবে। এতে এক অপূর্ব জাতীয় ও ধর্মীয় সংহতি তৈরি হবে।”
শুধু রমজান নয়, পিনাকী ভট্টাচার্য মনে করেন, ভবিষ্যতে মুসলিম তরুণরা অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্যও এমন সৃষ্টিশীল উদ্যোগ নিতে পারেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলো যদি কাছাকাছি না আসে, তাহলে দেশ পূর্ণ শক্তিতে এগিয়ে যেতে পারবে না।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, মুসলিম সম্প্রদায় এই উদ্যোগকে ভালোবাসা ও আবেগের সঙ্গে গ্রহণ করবে এবং অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ তার প্রস্তাবটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
পিনাকী ভট্টাচার্যের মতে, এই উদ্যোগ ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে এবং বাংলাদেশকে একটি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে সহায়তা করবে।
ধর্মীয় সংহতির এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সমাজে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে, এমনটাই আশা করছেন বিশ্লেষকরা।
মো. মহিউদ্দিন