ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ ১৬ বছরের অপশাসনের পর ছাত্রজনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পালিয়ে যান আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ মন্ত্রী, এমপিসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও। তবে বিদেশে বসে এসব নেতারা দেশ থেকে গেল ১৬ বছরে বিভিন্নভাবে লুটপাট করা অর্থ এবার কাজে লাগাচ্ছে দেশকে অস্থিতিশীল করতে। এই অর্থের মাধ্যমে তারা অনলাইনে দেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে, জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অর্থাৎ, দেশ থেকে লুটপাট করা টাকাকে ব্যবহার করা হচ্ছে দেশবিরোধী প্রচারণায়।
তবে এ ধরনের কার্যক্রম বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে এক নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে যা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবৈধভাবে অর্জিত এসব অর্থকে ব্যবহার করা হচ্ছে মিথ্যা খবর, ভিডিও এবং কন্টেন্ট তৈরির জন্য। বিশেষ করে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব এবং ইন্সটাগ্রাম এর মত প্লাটফর্ম গুলোতে এই প্রচারণা ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করছে।
ফ্যাসিস্টের পতনের পর এমন অভিযোগ উঠেছে যে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার রাখতে এসব সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে টাকার বিনিময়ে ভুয়া খবর এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের এসব প্রচারণা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যেই তৈরি যাতে জনগণের মধ্যে একটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। আওয়ামী দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করছে যেহেতু তারা প্রচুর টাকা দেশ থেকে স্থানান্তর করেছে। ওই টাকা তারা এখনো ব্যবহার করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থের বিনিময়ে বিদেশী মিডিয়া ও কিছু আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আওয়ামী লীগ এক ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তারা বিদেশী প্রকাশনা এবং নিউজ মিডিয়া গুলোকে প্রভাবিত করতে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক রিপোর্টিং চালিয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের এই দেশবিরোধী প্রচারণার বড় অংশ হচ্ছে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কৌশল। তারা অনলাইনে এমন কিছু কন্টেন্ট তৈরি করছে যা সরকার ও দেশের উন্নয়নের পক্ষে সরাসরি ক্ষতিকর। দেশি-বিদেশী শক্তি এবং নৃশংসতার প্রচারণা দিয়ে তারা তাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও উদ্দেশ্য সাধনের চেষ্টা করছে। তাদের দিক থেকে প্রচুর অর্থ প্রভাবশালী সামাজিক মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের মাধ্যমে দেশবিরোধী বার্তা ছড়ানোরও অভিযোগ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ তাদের প্রচারণার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ, নিউজ সাইট এবং ই-নিউজ পোর্টাল গুলোর মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা বিনিয়োগ করছে। তারা বিদেশী এবং দেশি প্লাটফর্মে অর্থের বিনিময়ে বিশেষ ধরনের রাজনৈতিক কন্টেন্ট ছড়িয়ে দিচ্ছে যা জনগণের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে এবং সরকারের প্রতি জনবিরোধী মনোভাব তৈরি করতে সহায়তা করছে। একই সাথে পার্শ্ববর্তী দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিয়োগের অভিযোগ রয়েছে যা দিয়ে সরাসরি বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা এবং গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
আবীর
