ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

জামায়াতের বিরুদ্ধে বিবৃতি ’লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্র রাজনীতির উদহারণ সৃষ্টি করল ছাত্রশিবির

প্রকাশিত: ০০:৫৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ০০:৫৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জামায়াতের বিরুদ্ধে বিবৃতি ’লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্র রাজনীতির উদহারণ সৃষ্টি করল ছাত্রশিবির

 


বাংলাদেশে জাতীয় রাজনীতিতে যেসব দল আছে সেসব দলের পক্ষ থেকে সাধারণত একটি ছাত্র সংগঠনও গঠন করা হয়। সেই হিসেবে ছাত্রদল পরিচিত বিএনপির ছাত্র সংগঠন হিসেবে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের এবং ছাত্রশিবির জামায়াতের ছাত্র সংগঠন বলা হয়। এবার তার নজির স্থাপন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। অন্যান্য ছাত্র রাজনৈতিক দলগুলো লেজুড়বৃত্তিক হওয়ার কারণে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি যার উদাহরণ দেখা গেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)।

গত  ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সংঘর্ষের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়েছিল। এ হামলায় জড়িত ছিল কুয়েটের আশপাশের এলাকার একাধিক এমন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীকে চিহ্নিত করা গেছে।

তার একদিন পর বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তালামিয কর্মীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনার আপস নিষ্পত্তি হয়েছে। কয়েকজন ছাত্রের মধ্যে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি নিষ্পত্তি করতে রোববার এক মতবিনিময় সভা করেন সিলেট জামায়াত ও আঞ্জুমানে আল ইসলাহ নেতৃবৃন্দ। 

সভায় সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রাবাসে তালামীযে ইসলামিয়ার এক কর্মীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের কিছু কর্মী জড়িত বলে জানায় সিলেট জামায়াত ইসলামী। এঘটনার পর প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। 

ছাত্রশিবিরকে জামায়াতের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন মনে করা হলেও ছাত্রশিবির সরাসরি সিলেটের জামায়াতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা প্রমাণ করেন তারা লেজুড়বৃত্তিক ছাত্রসংগঠন নয়। 

রাত ১১টায় গণমাধ্যমে পাঠানোর এক বিবৃতিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি শাহীন আহমদ ও মহানগর সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম সাজু এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “সিলেটের এমসি কলেজে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক দ্বন্দ্বে হাতাহাতির ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু স্থানীয় রাজনৈতিক মহল ফায়দা হাসিল করতে ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপিয়ে আসছে। আজ সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলামের প্রদত্ত একটি বক্তব্য আমাদের নজরে আসে। আমরা তার এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

“শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক দ্বন্দ্বকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারের মাধ্যমে ছাত্রশিবিরে উপর দায় দিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা ইতোমধ্যে দেশবাসীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীরও এ অপপ্রচার দ্বারা বিভ্রান্ত হয়েছেন বলে আমাদের মনে করছি। আমরা অবিলম্বে এ বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”

সাজিদ

×