পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার আগেই এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বর্তমান সরকারকে স্পষ্ট করে বলছি, আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আমাদের আমির আদালাতে উপস্থিত হতে চাইলে, তিনি সেখানে যাওয়ার আগে গোটা বাংলাদেশ থেকে কয়েক কোটি তার সামনে দাঁড়িয়ে যাবে। আমরা নিজেরা আগে আত্মসমর্পণ করে জেলে যাবো। কিন্তু আমাদের আমিরকে স্পর্শ করতে দেবো না। আমিরের কাছে আসতে হলে আগে আমাদের বুকের উপর দিয়ে আসতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভালো দিকগুলো নিয়ে যেমন আলোচনা করি, তেমনি ব্যর্থতারও সমালোচনা করি। দুর্ভাগ্য হলো, সরকারে আসার পর আপনারা মামলা থেকে মুক্তি নিলেন, অথচ আমাদের মামলা থেকে মুক্তি পাচ্ছি না! তাই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ার আগে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির ব্যবস্থা করুন।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এসেছিল। মামলাটি ৯ নম্বর তালিকায় ছিল। কিন্তু ৫ নম্বর আইটেম পর্যন্ত শুনানি করতেই আদালতের সময় শেষ হয়ে যায়। ফলে মামলাটি সময়ের অভাবে শুনানি হয়নি।
গত ২৩ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চে এক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।
এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে জামায়াত নেতা আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা।
তবে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এই রায়ের বিরুদ্ধেও রিভিউ আবেদন করেন তিনি।
সজিব
