
ছবি: সংগৃহীত
একসময় যেন তার কথাতেই চলতো দেশ। তার ঘোষণাতেই পালন হতো গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কর্মসূচি। অবস্থা এমন হয়েছিল যে দেশ তখন আওয়ামী লীগ সরকার নাকি ইমরান এইচ সরকার চালাচ্ছে সেটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
বাকপটু ইমরান সরকার চেতনার বয়ান তুলে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নান কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের ক্ষেত্র তৈরি করতেন। যার পেছনে ছিল ক্ষমতাসীনদের কোটি কোটি টাকার খেলা। এক-দুইদিন নয় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মাসের পর মাসরাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড় দখল করে চলে গণজাগরণ মঞ্চের কার্যক্রম। জনভোগান্তি তোয়াক্কা না করে শাহবাগে বসে জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর। বিচার বিভাগকে একরে পর এক রায় পরিবর্তনে বাধ্য করে ইমরান বাহিনী।
এখানেই শেষ না শাহবাগ থেকে ইমরানের দেয়া ঘোষণায় দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত এবং ডানপন্থীদের ব্যভসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালায় ছাত্রলীগ। ভাঙচুর চালানো হয় ইসলামী ব্যাংক, রেটিনাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। অভিযোগ আছে হামলার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাও তুলতো তারা। কিন্তু আওয়ামী লীগের ঘরে থাকা বড় বড় রাজাকারের বিষয়ে ছিল একেবারেই নিশ্চুপ। বরং অনেককে মন্ত্রী-এমপি বানাতেও ছিল এক ধাপ এগিয়ে।
এখানেই শেষ নয় ইসলাম বিদ্বেষী নান জিকির তুলে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াতে থাকে ইমরান ও তার অনুসারীরা। পরিকল্পিত সে আন্দোলনকে পুঁজি করে আলেম-ওলামাদের উপর অমানুষিক নির্যাকন চালায় আওয়াময় লীগ। যার ধারবাহিকতায় মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতের উপর বর্বর ক্র্যাকডাউন চালায় হাসিনার পুলিশ বাহিনী।
ভিডিও লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=bteEU-Unx0I
শিহাব