
ছবি: সংগৃহীত
ধানমন্ডি ৩২ গুঁড়িয়ে দেওয়াতে কার লাভ হলো তা নিয়ে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে উপস্থিত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
পার্থ বলেন, “ধানমন্ডি ৩২ গুঁড়িয়ে দেওয়াতে লাভটা কার হলো? ছাত্রদের এটা জিদের কাজ। তারা জিদে, রাগে, ক্ষোভে এটি করেছে।“
তিনি আরও বলেন, “আমার মতে এতে ছাত্রদের ইমোশনের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে আর আওয়ামীলীগের পলিটিক্যাল বেনিফিট হয়েছে। আওয়ামীলীগের কাঁদার মত একটা জিনিস তৈরি হয়েছে। তারা এটা নিয়ে পলিটিক্যাল বেনিফিট পাবে। তারা এটা নিয়ে সবসময় কাঁদবে।”
পার্থ আরও বলেন, “৭১ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সমান দৈর্ঘ্য-প্রস্থের কোনও রাজনীতিবিদ ছিলেন না। ৭১ থেকে ৭৫ পর্যন্ত আপনি অনেক প্রশ্নই করতে পারেন। এবং ওই বাসাটা একটা হিস্টোরিক বাসা। ওই বাসাতে ৬ দফা থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। আবার ওই বাসা থেকেই বাকশাল গঠিত হয়েছে। ইতিহাস ধরলে তো বাস্তবতা পুরোটাই আসতে হবে।”
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “এখন আমার প্রশ্ন হলো ভাঙচুর করে আপনি কী সরালেন? ৬২ থেকে ৬৬ বা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বা শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু হয়ে বেড়ে ওঠা- এই ইতিহাসগুলোকে কী আপনি সরিয়ে ফেলতে পারবেন বাংলাদেশ থেকে? পারবেননা। আবার বাকশালের মত স্বৈরাচারী অ্যাক্টিভিটিসগুলোও সরাতে পারবেন না।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার অনুশোচনা না করে ছয় মাস পরে এসে যে বক্তব্য দিয়েছে তাতে ছাত্রদের রাগ হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। তারা রাগ করে ধানমন্ডি ৩২ ভেঙেছে। কিন্তু এর সুবিধা আওয়ামীলীগ পাবে।
এমটি