
ছবি : সংগৃহীত
প্রশ্নকর্তা জানতে চান, আওয়ামী লীগ ইস্যুতে, আবু আলম শহীদ খান, কি মনে করেন আপনি?
জবাবে সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান বলেন, “না, উনি তো একটা রাজনৈতিক এনালাইসিস দিলেন এবং সেটার সাথে দ্বিমত করার কোন সুযোগ নেই। আপনি আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, আমি বেসিক্যালি মনে করি, কোন রাজনৈতিক দলকে বা কোন গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ করে কিন্তু ফলাফল হয় না কিছু। আমরা তো এই দেশে জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করেছিলাম এবং তারপরে তো আমরা দেখেছি ফলাফল কি হয়েছে। এখনো হিজবুত তাহরির নামে একটা দল আছে, সেটা নিষিদ্ধ এবং আমরা দেখি, তারা কি ধরনের শক্তি প্রদর্শন করে মাঠে এবং আপনি নিশ্চয়ই যখন ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে যাবেন, আপনার এলাকায় দেখবেন, কত পোস্টার লাগানো আছে তাদের নামে এবং কত বড় বড় মিছিল তারা করেছে আগস্টের পরে। তা এখনো তারা অ্যাক্টিভ আছে। তো নিষিদ্ধ করে আপনি আসলে কোন, খুব একটা বড় ফল নিয়ে আসবে এরকম না।
আপনার যেটা হবে যে, এইটাকে জনগণের কাছে ছেড়ে দিতে হবে এবং আমাদের দেশে তো একটা দল ছিল না, মুসলিম লীগ, যারা পাকিস্তান তৈরি করেছিল। আপনি এখন মুসলিম লীগ খুঁজতে তো, আমাদের বাতি দিয়ে খুঁজতে হয়। তাই না! কেন মুসলিম লীগের এই অবস্থা বিকজ মুসলিম লীগের রাজনীতিটাই বাঙালির যে রাজনীতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে রাজনীতি, ওই রাজনীতির সাথে মিশ খায় নাই এবং তারা ওইটা করতে পারে নাই। যার কারণে তারা আমাদের ভাষা আন্দোলন, আমাদের ৫৪ এর যে নির্বাচন, পরবর্তী যে ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭০, ৭১ এ তাদের ওই রোলটা ছিল না। ওই রোলটা না থাকার কারণে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তাদের এখন খুঁজে পাওয়া যায় না।”
তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগ তো আওয়ামী লীগ থাকুক, আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে যাক, জনগণের কাছে গেলেই তখন বোঝা যাবে যে, তাদেরকে জনগণ কতটা পছন্দ করে। যাওয়ার মত অবস্থা, ওই যে যেটা বললেন উনি, যাওয়ার মত অবস্থা আপনি যদি না রাখেন, তাহলে ওই যে একবার ব্যান হয়ে গেলে, তখন ব্যান পার্টি হিসেবে তারা চলবে এবং চললে তখন যে নেতৃত্ব, যাদেরকে আমরা দায়ী করছি এই গণহত্যার জন্য, যাদেরকে দায়ী করা হচ্ছে এই বিশাল অনিয়মের জন্য, দুর্নীতির জন্য, মানে অনেক। এটা একেবারে বলতে গেলে, এটা এক মিনিট ধরে বলা যাবে, কি কি তারা করেছেন, তাই এক মিনিট আমরা বলবো না।
সুতরাং তারা তো সুযোগ পেয়ে যাবে, তখন কিন্তু ওই নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে না। তো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একটা পরিবর্তন আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যারা এখন নেতৃত্বে আছেন। তাদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ নতুন ভাবে আরেকটা নেতৃত্ব আসতে পারে এবং তারা রাজনীতি করতে আসুক, কত পারসেন্ট ভোট পায় আমরা দেখি। কতটা সিট পায় দেখি আমরা এবং ব্যান করে দিলে তো আরেকটা সুযোগ সৃষ্টি হয়। নিষিদ্ধ পার্টি কিন্তু অনেক কাজ করতে পারে এবং সেই এবিলিটি কিন্তু আওয়ামী লীগের আছে। আপনি নিষিদ্ধ করবেন, তখন আন্ডারগ্রাউন্ডে যে দেশের অরাজকতা সৃষ্টি করা, এটা তো যেকোনো পার্টি করতে পারে। এটা ছোট ছোট নিষিদ্ধ পার্টি করতে পারে।
আমরা দেখেছি না সিরাজ শিকদারের সময়, কি করতে পারে। গণবাহিনী কি করতে পারে আমরা দেখেছি না, ইপিসিপিএমএল মানে আমরা যে কমিউনিস্ট আন্দোলন গুলো ছিল, নকশালরা কি করতে পারে আমরা দেখেছি না। সুতরাং নিষিদ্ধ করা কিন্তু রাজনীতিতে একটা খুবই রিস্কি। রিস্কি এবং এটা সলিউশনও না। এটা করতে পারে না। পৃথিবীর কোন দেশে নিষিদ্ধ করে কিন্তু কোন ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়নি।”
তিনি বলেন, “না, ৩২ নম্বর বাড়ি যে ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এটা খুবই অন্যায় কাজ হয়েছে। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। আপনি এই বাড়ি ভাঙবেন কেন। এই বাড়ির যেটা ইতিহাস বললেন, আপনি পুরা ইতিহাসের অংশ এটা। এটা ইতিহাসের অংশ হিসেবে থাকবে এবং যদি এর সাথে ফ্যাসিবাদী ইতিহাসও থাকে, সেটাও থাকবে। আপনি সেটাও রাখেন, সেটাই আপনি ঠিক করবেন। কিন্তু এইভাবে বাড়ি ভাঙ্গা এবং আপনি বললেন যে, সাধারণ মানুষ ইট নিয়ে গেছে। এরা কেউ সাধারণ মানুষ না থাকে। কিছু সাধারণ মানুষ থাকতে পারে। যেটা উনি বললেন, হ্যাঁ, এন্টি মুজিব, এন্টি বঙ্গবন্ধু, এন্টি স্বাধীনতার লোক থাকতে পারে।
বাট এই যে রড কাটছিল একজন লোকের, তার ইন্টারভিউ পড়ছিলাম, তাকে জিজ্ঞেস করা হলো যে, রডটা কাটতেছেন কেন আপনি? কয় আমি এই কয়টা রড নিয়ে যায় বিক্রি করবো, বিক্রি করে আমার ডিম কিনবো। আপনি বাংলাদেশে এই যে মানে মানুষ, চার কোটি মানুষ হয়তো দরিদ্র মানুষ আছে, তাদের প্রত্যেকের যেকোনো জায়গায় যেকোনো কিছু ঘটলে, আপনি একটা এক্সিডেন্ট ঘটলে আপনাকে উদ্ধার করার বদলে, আপনার ঘড়িটা নিয়ে যাবে।
এইতো বাংলাদেশের মানুষের এই যে এই অবস্থায় গেছে, এটাও তো একটা বড় ইস্যু। যেটা অন্তর্বতী সরকারকে খুব বুঝতে হবে যে, লক্ষ কোটি নিরুণ্য নিপীড়িত মানুষ রাস্তায় ঘুমায়। তাদের খাওয়ার জায়গা নেই, তাদের শোয়ার জায়গা নাই, তো সে যখন দেখবে যে, এখানে একটা ভাঙ্গা হচ্ছে, এখানে একটা যদি দুইটা ইট নিয়ে যায়।
ওই যে যেটা বললেন যে, শেখ হাসিনার ভাষণ, আপনি কিন্তু ভাষণ শোনার আগে ভাঙতে গেছেন। এটা ইম্পর্টেন্ট টাইমলাইন আছে কিন্তু। না আপনি নয়টায় ভাষণ, আপনি সাত টা থেকে রওনা দিছেন। উনি কি ভাষণ দিবে আমরা জানিনা। উনি তো অন্য ভাষণ দিতে পারে। উনি তো এই ভাষণে ক্ষমাও চাইতে পারতেন। ইউ শুড হ্যাভ ওয়েট এবং এইখানে যে আপনি বাহির থেকে যে উস্কানি এবং আপনার এগুলো তো ভিডিও আছে এই যে কেউ একজন বললেন যে, কলাবাগানে আমি অলরেডি বুলডোজার পাঠিয়ে দিয়েছি। উনি কে! বুলডোজার পাঠানোর, কোন অর্গানাইজেশন থেকে বুলডোজার।”
আন্দালিব পার্থ বলেন, “আমরা নিউ জেনারেশন, না, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, ভাঙ্গাভাঙ্গি, আগুন জ্বালানো, এগুলি করা কোন পলিটিক্যাল সমস্যার সমাধান না। এটা বরং কোন সরকারের স্থিতিশীলতাকে প্রশ্ন করে এবং তার ভাবমূর্তি এবং পৃথিবীতে প্রশ্ন করে। তো আমার মনে হয়, পলিটিক্স তো ব্রেইনের জিনিস, এটা মাথা ঠান্ডা করে যে যেমন ভাবে খেলবে, সেটাই বড় কথা।”
দুর্নীতি নিয়ে বলতে গিয়ে শহীদ খান বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে উনি যেটা বলছেন যে, ব্যাংক লুট বন্ধ আছে এখন। এটা ঠিক আছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেই পদক্ষেপ কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না। মানে আমরা যে ভাঙচুরের ব্যাপারে আলাপ করছিলাম, যে আপনি একটা ইন্ডাস্ট্রি ভাঙচুর, ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করে দেওয়া, ইন্ডাস্ট্রি লুট করা, এই সরকারের প্রথম দিক থেকেই যেটাতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল এবং প্রথম দিন যেদিন ডক্টর ইউনূস আসলেন, সেদিন থেকে এই সরকারের, অন্তর্ভুক্তি সরকারের কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া উচিত ছিল যে, আপনারা কোন প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করবেন না। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। প্রশাসক নিয়োগ করা যায়। প্রতিষ্ঠান চালু রাখা যায়। এই যে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক যদি বেকার হয়ে যায়, সেটা তো বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট সমস্যা। তো সেসব তো আমরা করে ফেলেছি। এখন তো আমরা রিটার্ন করতে পারবো না। এখনো সুযোগ আছে যে আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে চালু রাখা।
তাদের যে টাকা-পয়সা যারা নিয়ে গেছেন, তাদের যারা আত্মীয়-স্বজন এবং অন্যান্য যারা দেশে আছেন, তাদের সাথে নেগোশিয়েট করে। কেন আপনি যদি ওই পদ্ধতির মধ্যে চলে যান যে, আমরা ওই রাষ্ট্রের এর সাথে কথা বলবো, আরেকটা রাষ্ট্রের সাথে কথা বলবো, জেনারেশনের সামনে আমরা ফেয়ার ফ্যাক্স লাগাইছি।”
আন্দালিব পার্থ বলেন, “লাভ নাই, তারপরে এটা আপনি এইটা জেনারেশন কিছু রিকভার করতে পারবেন না। একটা টাকাও রিকভার করতে, আপনার রিকভার করতে হলে আপনার এদের সাথে কথা বলতে হবে। এদের সাথে নেগোসিয়েশনে যেতে হবে। নেগোসিয়েশন মানে ওনাদের বেনিফিট না। তাদেরকে বুঝতে হবে ফ্যাক্টরি গুলি চলতেই দিতে হবে। ৪০০০০-৫০০০০ শ্রমিক আছে, বেতন আছে, আপনার ওই সিস্টেমের মধ্যে থেকে আনতে হবে। আদারওয়াইজ আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি এদেরকে জেলে রাখবেন, জাতি দেখছে যে, সালমান এফ রহমান জেলখানা, ফাঁসি হয়ে গেল বা মারা গেল বা এই হলো আমার লাভ কি। আমার ২০০০০ কোটি টাকার কি হলো! আমার দেশের কি হলো! মানে জনগণের ২০০০০ কোটি টাকার কি হলো, আমার মানে তো দেশের লাভ কি হলো।”
শহীদ খান বলেন, “আমাদের এই সরকারটা এসে এসব ডিল করতে পারবে না। কারণ আপনি এখন আমাদের যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে, তারা যে রাষ্ট্রের সবকিছু ডিল করতে পারবে, এটা সম্ভব না। এটা তাদের কাছে প্রত্যাশা করাও যাবে না। বাট বেসিক জিনিস আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্য, সংস্কার, সংস্কারের অল্প নিয়ে নির্বাচন, এগুলোতে কিন্তু আমাদের ঐক্যমতে পৌঁছে দ্রুত চিন্তা করতে হবে।”
প্রশ্নকর্তা জানতে চান, আপনি দ্রব্যমূল্যের কথা বলছেন, রমজান একেবারেই সমাগত, এই বাস্তবতায় দ্রব্যমূল্য যে পরিমাণ, আকাশচুম্বি, কি মনে করেন? সরকার বলছে, সিন্ডিকেটের কাছে তারা অসহায়।
জবাবে শহীদ খান বলেন, “না, এই সরকার তো এর আগের সরকারও তাই বলতো। সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় কখন হয়। আগে যেটা ছিল যে একটা নেক্সাস ছিল। ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং আমলা কর্মচারীকে, তারা তিনজন মিলে সিন্ডিকেটটা করতো। প্রত্যেকেই লাভবান হতো। ব্যবসায়ীরা বেশি লাভবান হতো। স্বাভাবিকভাবে ১০০ টাকা লাভ হলে ব্যবসায়ীরা, রাজনীতিবিদদের ২০ দিবে, এখন ওই যে গণকর্মচারী যারা এর সাথে জড়িত আরো ২০ টাকা দিবে। ৬০ টাকা তারা লাভ।
এখন তো নেক্সাসটা নাই, তারপরে কেন কন্ট্রোল করতে পারে না, এটা তাদেরকে বসতে হবে। উনি যেটা বলেন, ব্যবসায়ীদের সাথে বসতে হবে। আমাদের একটা ট্যারিফ কমিশন আছে, আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যিনি দায়িত্বে আছেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী, এর আগেও একজন ব্যবসায়ী ছিলেন, তো ব্যবসায়ী থাকার পরেও উনি যদি এই জিনিসগুলো বুঝতে না পারেন এবং আলাপ আলোচনা করে যদি ঠিক না করতে পারেন, বিষয়টা হলো আলাপ-আলোচনা, আপনি মব দিয়ে কিছু করতে পারবেন না। মব দিয়ে কোন কিছু কন্ট্রোল করা যাবে না।
এখন তো আমরা এই ২০০-৩০০ লোক, ২০০০ লোক এক জায়গায় মব সৃষ্টি করলেই আমরা ভয় পেয়ে যাই এবং তাদের কথামতো আমরা চলার চেষ্টা করি। সেটা তো হবে না। এভাবে তো দেশ চলতে পারে না।”
প্রশ্নকর্তা আরো জানতে চান, দ্বিতীয় ইনিংস বলতে প্রধান উপদেষ্টা কি বোঝাতে চেয়েছেন? সর্বশেষ, গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে তিনি দ্বিতীয় ইনিংসের কথা বলেছেন।
জবাবে শহীদ খান বলেন, “আমি তো মানে বুঝতে পারিনি যে দ্বিতীয় ইনিংস বলতে উনি কি বুঝিয়েছেন। এটা আন্দালিব পার্থ আছেন, উনি ছিল যে ওখানে ছিলেন, উনি হয়তো আরো ভালোভাবে বলতে পারবেন। বাট আমার কাছে মনে হয় যে, দ্বিতীয় ইনিংসটা হলো লাস্ট ইনিংস। মানে আপনি যদি এই ক্রিকেটের ভাষায় উনি কথা বলেছেন তো, তাহলে আপনি একটা ফার্স্ট ইনিংস অলরেডি খেলে ফেলেছেন। তারপরে এটার কি ইম্প্যাক্ট হইছে, এটা আপনি জানেন। সুতরাং আপনার সেকেন্ড ইনিংস, ইজ দ্যা লাস্ট ইনিংস। সুতরাং আমি যদি ওইভাবে ব্যাখ্যা করি, তাহলে এটা উনাদের লাস্ট ইনিংস।
সুতরাং উনারা যতটুক ভালো খেলার এই সময় খেলবেন, খেলে একটা ভালো নির্বাচন দিয়ে আমাদেরকে একটা জনগণের সরকার, নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর করবেন এবং নির্বাচিত সরকার নিশ্চয়ই সেই তাদের যে কাজ, সেই কাজগুলো করবে।
ডক্টর ইউনূস যেভাবে বলেছেন যে, দুইটা জিনিস বলেছেন তো উনি, উনি বলেছেন, অল্প কিছু সংস্কার হলে তাহলে আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে পারবো। আর যদি রাজনৈতিক দলগুলো আরো বেশি সংস্কার চায়, উনি কিন্তু বলেননি যে, আমরা আরো বেশি সংস্কার করে জুন-জুলাইতে দিব। বক্তব্য খুব ক্লিয়ার। তাহলে আমরা রাজনৈতিক দলের যে ঐক্যমত, যেটা দেখতে চাই সেটার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেকেন্ড ইনিংসে আমরা এই ঐক্যমত দেখেই আমরা একটা নির্বাচনে দেখেছি।”
প্রশ্নকর্তা জানতে চান, কিন্তু এরই মধ্যে তো আমরা একটা অনৈক্যের সুরও লক্ষ্য করি, বিএনপি ডিসেম্বর পর্যন্ত মানলো, আবার জামায়াতে ইসলাম, তারা আগামী বছরের মাঝামাঝির কথাও বলছে। কি বলবেন এই নিয়ে?
জবাবে তিনি বলেন, না, “এইটা তো গণতন্ত্র। আপনি প্রত্যেকটা দল তার যে সুবিধা অনুযায়ী কথা বলবে। এখন বিএনপি হয়তো মনে করে, যত আর্লি নির্বাচন হবে, তত তাদের চান্সেস অফ ফর্মিং গভমেন্ট বেটার। সুতরাং এটা তারা মনে করতে পারে এবং আমরাও জানি, বিএনপির শক্তিমত্তাটা কোথায় আছে। তো জামায়াতে ইসলাম বা অন্য নতুন দল তারা আরেকটু সময় পেলে, তাদের হয়তো আরেকটু অরর্গানাজ করতে পারবে। তারা এটা মনে করে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের জন্য, বাংলাদেশের মানুষের যে সমস্ত বেসিক সমস্যা আছে, যেগুলো দূর না করলে আমরা বিপদে পড়ে যা,ব সেই বিপদ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য, আমাদের অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে একটা স্বাধীন, সুন্দর, উৎসবমুখর নির্বাচন হওয়া দরকার।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=-qYEn1T61nw
মো. মহিউদ্দিন