
ছবি : সংগৃহীত
বৈধ পথে আসেন, খাওয়ার বিকল্প বৈধ ব্যবস্থা করে দিব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, “সিনিয়র নেতা, তার নেতারে কইতেছে, শিবিরের উপরে চাপায় দাও, শিবিরের উপরে চাপায় দাও। কি মজা শিবিরের উপরে চাপানো। জাতি এখন আর বোকা না মিয়াভাই।
সংস্কারের দায়িত্বে যদি অন্যের গাড়ে দিয়ে যান, ইতিহাসের কাঠগড়ায় আপনাদেরকে দাঁড়াতে হবে। আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই কেন! দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য। দুর্নীতি বাংলাদেশের এক নাম্বার ক্যান্সার।”
সেলিম উদ্দিন বলেন, “খালি বক্তৃতায় তো আমরা সবাই খুব ভালো, কিন্তু কাজে তো দেখি যে, আরো ভালো হওয়া লাগবে। এটা পারে নাই, ফেল করেছে। জামায়াতে ইসলামী এটা করেছে, জামায়াতে ইসলামী আড়াই হাজার পৃষ্ঠা ইতিমধ্যে লিখে ফেলেছে দশটা বইয়ে। আরো লিখবে ইনশাল্লাহ। জামায়াতে ইসলামী এই আন্দোলনের একটা পার্ট অর্থাৎ জামায়াতে ইসলামী এই কাজটা করবে ইনশাল্লাহ। সরকারের করা উচিত, এখনো করে নাই।
একটা বড় হাসপাতাল বানানো দরকার ছিল, পিজির মত একটা হাসপাতাল। যেটা শুধু শহীদ পরিবারের লোকেরা, আর আহত লোকেরা, সব টাইপের চিকিৎসা এখানে নিবে। কোন চিকিৎসার জন্য আরেক হসপিটালে যাবে না। এদেরকে আলাদা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া দরকার ছিল। এটা করতে কি লাগতো! একটা মুসলিম কান্ট্রিকে বললে তারা দিয়ে দিত। তুরস্কের মত বা সৌদি আরবের মত একটা রাষ্ট্রকে বললে, যে তোমরা আমাদের একটা হসপিটাল বানায় দাও। এরা একেবারে সম্মানের সাথে এটা করে দিয়ে দিত। তো পারলেন না কেন এটা! এটা পারলেন না। এখনো করেন, সময় আছে।
এরপরে আপনারা এসেছেন, ওই পূর্বের ধারাবাহিকতা মেইনটেইন করে কয়দিন ক্ষমতা ভোগ করে চলে যাওয়ার জন্য না। ছয়টা কমিশন গঠন করেছেন। তারা রিপোর্ট দিয়েছে, এটার মতামত রাজনৈতিক দলের কাছে চান। আপনারা বলছেন ওয়েবসাইটে দিবেন, ওয়েবসাইটের কথা ঠিক রাখবেন। ওয়েবসাইটে দিবেন কে কি বলল। এই সংস্কার আপনাদেরকে করতেই হবে। সংস্কারের দায়িত্বে যদি অন্যের গাড়ি দিয়ে যান, ইতিহাসের কাঠগড়ায় আপনাদেরকে দাঁড়াতে হবে। আপনারা কোন রাজনৈতিক দলের কথায় ক্ষমতায় আসেন নাই। ১৮ কোটি মানুষের এর সমর্থনে ক্ষমতায় আসছে।”
তিনি আরো বলেন, “সংস্কার অবাস্তবায়িত রেখে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার অর্থ হলো আপনাদের সমস্ত কার্যক্রম মাটির সাথে মিশে যাওয়া। আপনারা যত দ্রুত পারেন করেন। এর মানে এটা না যে, আপনারা বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকবেন। আপনারা যেটা বলছেন, এ বছরের ভিতরে না হলে, আগামী বছরের জুনের ভিতরে। দ্যাটস ওকে। আপনারা এ সময়ের ভিতরে সংস্কার বাস্তবায়ন করবেন ,১০০% বাস্তবায়ন করুন।
এরপরে আমাদের নেতা বলে গেলেন, লোকাল নির্বাচন কেন আগে দরকার। এজন্য দরকার, এখন মানুষ কোন সার্ভিস পাচ্ছে না। আর সেই সাবেক সরকারের এক্সটেনশন আর নতুন দোসররা মিলে যে পরিমাণ ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেছে, চাঁদাবাজি শুরু করছে, মানুষের নাভিশ্বাস, মানুষের আয় নাই, পেটে ভাত নাই, সে বাজার করতে পারতেছে না। আবার একটা টুকটাক সার্ভিসের জন্য যেয়ে তাকে অনেক টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এটা কেন হবে!
আর স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে, নিউট্রাল গভমেন্টের আন্ডারে হলে, সমাজের এমন কিছু মানুষ আছে সব এবং যোগ্য, তারা রাষ্ট্র পরিচালনাম লোকাল গভমেন্ট পরিচালনায় তারা ইনভল্ভ হবে, সরকারটা ব্যালেন্স একটা সরকার হবে। আর না হইলে, আপনারা যারা চাচ্ছেন না, স্থানীয় নির্বাচন, বাঁশের কেল্লায় একজন লেখছে, যে আপনি হইতে চান দলের পক্ষ থেকে এমপি, আপনার বউরে বানাইবেন উপজেলার চেয়ারম্যান। শালিরে বানাইবেন ভাইস চেয়ারম্যান অথবা শালারে, শালা অথবা শালিরে। আর প্রথম বড় চামচারে বানাইবেন হইলো ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, আর ছোট চামচারে ভাই নামে বানাবেন হলো মেম্বার। আমি আর মামু ঘরের ভিতরে বইসা সব খাইবেন। জাতি কিছুই জানবে না। এটা হবে না।”
সেলিম উদ্দিন বলেন, “এটা নির্দলীয় নির্বাচন। এটা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হইলে, দেশের সাধারণ জনগণ যাদের মধ্যে মেধা আছে, বুদ্ধি আছে, সম্পদ আছে, মানবসেবা করতে চায়, এই ধরনের লোকেরাও তারা পাশ করবে। আর দলীয় সরকারের অধীনে হলে কোন নির্দলীয় লোক এখানে পাশ করে আসতে পারবে না। এজন্য আমরা কিন্তু আবেগের কারণে বলতেছি না। আমরা চাই দেশটা দেশের জনগণ চালাক। আমাদের ক্ষমতায় যাওয়ার এত তাড়াতাড়ি কোন, আমাদের ক্ষমতা না হইলেও আমরা জনসেবা করতে পারি।
আর ক্ষমতা হইলে, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই কেন! দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য। দুর্নীতি বাংলাদেশের এক নাম্বার ক্যান্সার। এই ক্যান্সারের সাথে জড়িত রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে বাংলাদেশে কলাপস করে দিতে হবে। কোনো দুর্নীতিবাজ বাংলাদেশের আর এমপি হইতে পারবে না, মন্ত্রী হইতে পারবে না। এইসব দলের রাজনীতি বাংলাদেশে চলবে না। একদম বিশুদ্ধ হয়ে তওবা, ইস্তেগফার করে বলতে হবে যে, আমরা জীবনে দুর্নীতি করবো না। একদম ইশতিহারে ঘোষণা দিতে হবে। আর এখন বাস্তব আমলেও প্রমাণ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “শুধু মুখের কথায় আর চিড়া ভিজবে না। সেজন্য আমরা চাই, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই কেন! জামায়াতে ইসলামীর হাতে ক্ষমতা দেন, পাঁচ বছরের ভিতরে যদি দুর্নীতিকে সমূলে আমরা নির্মূল করতে না পারি, কেয়ামত পর্যন্ত আর আমাদেরকে ভোট দিয়েন না।
দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, এগুলো আমরা একেবারে সম্পূর্ণ শেষ করে দেব। তাইলে দুর্নীতিবাজদের কি হবে? দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসী, এদের সাথে আমরা পরামর্শ করব। এদেরকে খুঁজে যতদূর পারা যায় বের করে, বিকল্প ব্যবস্থা করে দিব।
দুর্নীতির পরিবর্তে ব্যবসা করবে, চাঁদাবাদের পরিবর্তে ব্যবসা করবে, তাদেরকে বিনিয়োগ করে, বিনিয়োগের জন্য পয়সা দেওয়া হবে। তাদেরকে কর্জে হাসানা দেওয়া হবে, যাকাত থেকে দেওয়া হবে, নন রিফান্ডেবল ফান্ড থেকে দেওয়া হবে, লোন দেওয়া হবে। যা পারে তা তারা নিবে, নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করে সুন্দর করে খাবে। কারো কাছে মাথা নত করবে না।
এখন তো এই নেতার কাছে মাথা নত করে থাকতে হয়। দলের দলের পূজা করা লাগে। দলের চামচাগিরি করা লাগে। তখন মাথা উঁচু করে, এক আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে মাথা নত করবে না। আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিব। ইন মানে দুর্নীতিবাজ দিয়ে আমরা ব্রাশফায়ার করে মাইরা দিব তা না, এই দুর্নীতিবাজ বানাইছে যারা, এইটা চিহ্নিত হইলে, এদের বিচার করে, আমরা এদেরকে ফাঁসি দিব।”
তিনি আরো বলেন, “কিন্তু যারা পরিস্থিতির শিকার, এদের একজনের গায়েও হাত দেওয়া হবে না। এদেরকে বুঝে শুনে আল্লাহওয়ালা বানায় দেওয়া হবে। ভালো, সৎ ব্যবসায়ী বানায় দেওয়া হবে। যুবকদের হাতে তাদের ব্যবসা তুলে দেওয়া হবে। কাজ তুলে দেওয়া হবে। এরা হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রহরী। সীমান্তে আমার লোকদেরকে বারবার হত্যা করা হলে, সীমান্তে আমার যুবকেরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, কয়েকদিন আগে যেভাবে গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশের ১৮ করে মানুষের প্রত্যেকটা হবে যোদ্ধা। আমরা আমাদের দেশ রক্ষায় জীবন বাজি রেখে আমরা কাজ করবো।
জামায়াতে ইসলামীর হাতে একবার দেশ না আসা পর্যন্ত, দেশ কিভাবে কল্যাণ রাষ্ট্র হয়, মানবিক রাষ্ট্র হয়, দেশ কিভাবে একটা সামগ্রিকভাবে ইনক্লুসিভ রাষ্ট্র বলতে কি বুঝায়, এটা প্র্যাকটিক্যালি না দেখা পর্যন্ত মানুষ বুঝবেই না। কিভাবে প্রত্যেকটা মানুষের কাজে লাগানো যায়, সমাজের প্রত্যেকটা শ্রেণীকে কিভাবে মূল্যায়ন করা যায়, এটা শুধু ইনশাআল্লাহ জামায়াতের হাতে দেশ আসলেই আমরা দেখাইতে পারবো।
ইনশাল্লাহ, মাশাল্লাহর উপরে বসে থাকলে হবে না। ইনশাল্লাহ, মাশাল্লাহকে ময়দানে নিয়ে যেতে হবে। ব্যাপক দাওয়াতের কাজ করবেন। প্রতিদিন দশটা মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিবেন। প্রতিদিন ১০ টা মানুষকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদেরকে সচেতন করবেন। মানুষকে বলবেন দুর্নীতিকে না বলতে শিখুন। চাঁদাবাজকে না বলতে শিখুন। সন্ত্রাসীকে না বলতে শিখুন। ব্লেম গেইমকে না বলতে শিখুন।”
তিনি বলেন, “দেখছেন এটা কি মজার ঘটনা। এক মিডিয়া আসছে, মিডিয়া ওয়ালারা দেখছেন আপনারা, কয় যে, এটা দোষ চাপাই দাও শিবিরের উপরে। আচ্ছা দেখেন, এখনো যদি মানুষের চিন্তা এরকম হয়, তাইলে ভবিষ্যৎ কি। মিডিয়া সামনে, আর এটা বলতেছে সিনিয়র নেতা, তার নেতা বলতেছে, শিবিরের উপরে চাপায় দাও। শিবিরের উপরে চাপায় দাও। কি মজা শিবিরের উপরে চাপানো, জাতি এখন আর বোকা না মিয়া ভাই। এত বোকা না, জাতি এখন অনেক সজাগ, অনেক সজাগ।
জামায়াত-শিবিরের উপরে দোষ আওয়ামী লীগ কি কম চাপাইছে! ট্রাক এক্সিডেন্ট করলে, মরলেও কই, ট্রাকের ড্রাইভার জামায়াত ইসলাম। আর নাইলে, ড্রাইভার না হইলে হেল্পার জামায়াত ইসলামী। যা কিছু ঘটতো, তার জন্য সব জামায়াত ইসলামী।
ওই যে রাখালের গল্পের মত, রাখাল বাঘ বাঘ বলে যে চিল্লায়, দুই তিন দিন লোক আসার পরে দেখে যে, এইতো আনট্রাস্টেড। এরপরে রিয়েলি একদিন বাঘ আসলো এবং রাখালকে খেয়ে ফেললো। মানুষ আসে নাই যে, এই ব্যাটা আনট্রাস্টেড। ঠিক তেমনি জামাত শিবির বইলা যে তসবি জপতেছেন, হাসিনা আর কিছু বাকি রাখে নাই, নতুন করে আর পাগল সাজিয়েন না।
পুরাতন পাগলেরই ভাত নাই, নতুন পাগল সাজতেছেন। হ্যাঁ, লাভ হবে না। শুদ্ধ হয়ে যান। সবাই শুদ্ধ হয়ে যান। রাজনীতিবিদ, ছাত্র সংগঠন সবাই সঠিক কথা বলুন। ভুল যদি আমার হয়, শিবির যদি ভুল করে, আল্লাহর কসম খেয়ে বলছি, জামায়াত-শিবির যদি ভুল করে, তথ্য প্রমাণ থাকে, ১০০% বলেন, আমরা গোটা জাতির কাছে মাফ চাইবো।”
তিনি আরো বলেন, “ভুল হইলে কেন ভুল বলবেন না! কিন্তু আমি যে ভুল করি নাই, এটা আমার উপরে দায়ে কোন রকম চাপাই দিবেন! এত খারাপ হবেন কেন! এত খারাপ হওয়ার তো দরকার নাই। রাজনীতি করছেন বলে এত নিচে, রাজনীতিবিদ্দের উপরে মানুষের আস্থা তো এই কারণেই নষ্ট হইছে। মিথ্যা বলা ছাড়েন, মিথ্যা প্রপাগান্ডা বন্ধ করেন, রাজনীতি রাজনীতির মত করেন।
রাজনীতিটা উন্নত বিজ্ঞানের নাম। রাজনীতিবিদরা হলো বড় বিজ্ঞানী। রাজনীতিবিদরা হলো জাতির কর্ণধার। এরা বড় মনের অধিকারী হবে। এরা পরোপকারী হবে। এরা সেবক হবে। এরা নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে জনগণের জন্য কাজ করবে। নিজের বাপের পকেটের টাকা ব্যয় করে রাজনীতি করবেন। রাজনীতি কোন ব্যবসার নাম না। রাজনীতিকে যারা ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছেন, আর এর এবাদত যারা করতেছেন, এই ব্যবসা বাংলাদেশে অচল। রাজনীতি আর বাংলাদেশে ব্যবসা হবে না।
সুতরাং আজকের দিনে আমরা সেটাই বলব, যে একটা সুযোগ এসেছে দেশে, আমাদের সবার মিলেমিশে চলার, পরস্পরকে বোঝার, ভাই খালি আপনি খাইবেন, এই চিন্তা করেন কেন! দেশের ১৮ কোটি মানুষকে নিয়ে ভাবেন না। যার যেখানে প্রয়োজন, যার যেখানে যোগ্যতা আছে, যাকে যেখানে কাজে লাগালে দেশের কল্যাণ হবে, সেভাবে আসেন না। সবাই মিলেমিশে দেশ চালাই। এই একক দখলদারিত্ব এবং এককভাবে আমি সব, এরকম এইসব অহংকারী মনোভাব নিয়ে দেশ, দেশে থাকলে হবে না। আমাদের সবাইকে নিরহংকারী হইতে হবে এবং দেশকে নিয়ে ভালোবাসতে হবে। দেশকে সবার উপরে স্থান দিতে হবে। মানুষকে সবার উপরে স্থান দিতে হবে। বাংলাদেশকে সবার উপরে স্থান দিতে হবে।”
সেলিম উদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশে আজকে জামায়াত ইসলামী যে পরিমাণ কনস্ট্রাক্টিভ ওয়ার্ক করেছে, আল্লাহ যে মেধা দিয়েছেন, যাদের মেধা দিয়েছেন লেখালেখি করার, কথা বলার, টকশো করার, আল্লাহর ওয়াস্তে বিবেককে কাজে লাগাইয়া জামায়াতের অবদানকে স্বীকার করুন। তাইলে এদেশে আরো রাজনৈতিক দল এই পথে যাবে। ভালো কাজের দিকে যাবে। আজকে জামায়াত কেমন নাৎসি! জামায়াত কিছু না! জামায়াত মানে হাইপোথেটিক্যাল! কিছু বায়বীয় কথাবার্তার মাধ্যমে জনগণের সামনে জামায়াতকে আন্ডারমাইন্ড করার চেষ্টা করেন। এটা বোধহয় আর বেশিদিন চলবে না।
সুতরাং আসেন জামায়াতের অবদানকে স্বীকার করেন। জামায়াত বেসরকারিভাবে ক্ষমতায় না গিয়ে যা করেছে, একটু চোখ মেলে তাকান, আর যদি এটা সত্য হয়, সত্যকে সত্য বলেন, সাদাকে সাদা বলেন, কালোকে কালো বলেন। নাইলে দেশ ভালো হবে কিভাবে।
জামায়াত কম করেছে! এই মাইরের উপরে থেকে! এত পিটন, এত নির্যাতন, ফাঁসি! কি করেন নাই জামায়াতের নেতাদের সাথে! নিজামী সাহেব দেশের জন্য কি করলেন, আর উনারা আপনার কি করলেন! তার মত কয়জন পার্লামেন্টে গেছেন! নিজামী সাহেবের একটা শব্দ পার্লামেন্ট থেকে, ১০ বছর পার্লামেন্টে মেম্বার ছিলেন, একটা নট এ সিঙ্গেল ওয়ার্ড, বাজে কথার লোক ছিলেন না। তিনি যখন পার্লামেন্টে কথা বলতেন, পিনপতন নীরবতার মধ্যে পার্লামেন্টে উপস্থিত সকল মেম্বার এবং স্পিকার এবং আদার সবাই তার বক্তৃতা শুনতে। এখনো তো পার্লামেন্টে তার বক্তব্য আছে। নিজামী সাহেবের একটা বক্তব্য পার্লামেন্ট থেকে এক্সপাঞ্জ হইছে, একটা ঘটনা দেখাইতে পারবেন!
এরকম লোক তৈরি করেন। বকবক বক টাইপের লোক তৈরি না করে, কাজের লোক তৈরি করে। তিনি একজন আলেমে দ্বীন ছিলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় চালাইছেন, কৃষি মন্ত্রণালয় চালাইছেন, তার দুই টাকার দুর্নীতির খবর আনেন। স্বজনপ্রীতির খবর আনেন, তার এলাকার লোকদের জিজ্ঞেস করেন। নিজামী সাহেবকে তারা কেমন মানুষ চিনে। সেরকম মানুষ তৈরি করে প্রত্যেকটা দলে। মানুষ তৈরি করেন। জামায়াতে ইসলামীর নেতা সেই পাবনারই আরেকজন মাওলানা আব্দুস সুবহান রাজিমাহুল্লাহ, একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থেকে পাঁচবারের পার্লামেন্ট মেম্বার, এমএলএ ছিলেন, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মেম্বার ছিলেন।
দেখেন যে উনারা কি করেছেন এমপি হয়ে। নিজামী সাব তার এলাকায় কি করেছেন, আব্দুস সুবহান সাব তার এলাকায় কি করেছেন, কিংবা আমাদের এমপিরা যে যেখানে আছে, তারা এলাকায় কি করেছেন, দেখেন। পেরেছেন কেন! তাদের মধ্যে সততা ছিল, তাদের মধ্যে আল্লাহর ভয় ছিল। এইজন্যই আপনারা আসতে দিতে চান না। যে এটা আসলে আমাদের খাওয়া বন্ধ। খাওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা করে দিব ভাই। আমরা প্রমিস করতেছি, খাওয়ার বিকল্প বৈধ ব্যবস্থা করে দিব। বৈধ পথে আসেন, অবৈধ পথে কেন যাবেন।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=_nKfXgm2rog
মো. মহিউদ্দিন