
ছবি: সংগৃহীত
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন সম্প্রতি ট্রাম্পের করা বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে মন্তব্যের অনীহা নিয়ে মুখ খুলেছেন।
তিনি বলেন, যদি ট্রাম্পও চেষ্টা করে হাসিনাকে আবার বাংলাদেশে ফেরানোর জন্য, ট্রাম্প পারবেনা। বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা তারা কনফিডেন্স ফিরে পেয়েছে যে আসলে ক্ষমতার পালাবদল বা কাউকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষেত্রে বহির্শক্তিকে আমরা আসলে কিছু করতে দিবো না। তাদের ভিতর একধরনের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। তো সে জায়গা থেকে ট্রাম্প যদি মনে করে যে না হাসিনাকে ফেরাবো, মোদি যদি সেরকম লিঙ্ক লবিং করে থাকে, আমার মনে হয় এটি পারবেনা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এখন নিজেদের আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান। আসলে ঐ বিদেশী শক্তি দিয়ে কাজ হবে না। এখন আমরা সবাই মিলে এই দেশটাকে সাজাতে চাই, গুছাতে চাই।
তবে একটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো যখন বাংলাদেশ ইস্যুতে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলো তখন ট্রাম্প নিজে আসলে উত্তর দেননি। সেক্ষেত্রে কয়েকটি প্রশ্ন থেকে যায় সেটি হলো যে বাংলাদেশ সম্পর্কে কি ট্রাম্প কিছু বোঝেন না নাকি জানেন না। আবার বিষয়টা হলো যে আসলে বাংলাদেশকে কি আসলে ভারতের মাধ্যমে আমেরিকা ডিল করাতে চায় সেই প্রশ্নও থেকে যায়। আমাদের মধ্যে একধরনের সন্দেহ, সংশয় ছিলো যে সবসময় আমেরিকা বাংলাদেশকে ভারতের চোখ দিয়ে দেখে।
এ বিষয়ে আমেরিকানদের আমি প্রশ্নও করেছি যে একটি অভিযোগ রয়েছে সেটি হলো আপনারা সরাসরি বাংলাদেশের সাথে ডিল না করে ভারতের মাধ্যমে ডিল করেন। ভারত আপনাদেরকে যে-ধরনের প্রস্তাবনা দেয় আপনারা সেই প্রস্তাবনার আলোকেই বাংলাদেশকে নিয়ে খেলেন। এটিতো হতে পারে না। আমি অভ্যর্থনার পরেই তাদের আমাদের পক্ষ থেকে তাদের জানিয়েছি বাংলাদেশের সাথে আপনাদের সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। ভারতের মাধ্যমে আপনি যোগাযোগ করবেন সেটি জনগণ মানবেনা। মোদি বা ট্রাম্প কেউই সরাসরি শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান করবেনা। তারা উভয়েই কৌশলী বক্তব্য রাখছে। তারা এই অভ্যূত্থানের সরকারের সাথে কাজ করতে চায়। বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ট্রাম্পও পারবেনা, মোদিও পারবেনা। ট্রাম্পকে সরাসরি বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।
এছাড়াও তিনি যোগ করেন, আপনি যদি মনে করেন ভারতের জনসংখ্যা ১৪৫ কোটি, সেখানে আপনাকে একটি বিজনেস ডিল করতে হয়, বিশাল বেনিফিট আসে, সুতরাং ভারতকে ইগনোর করে আমি বাংলাদেশ ইস্যুতে কোন সিদ্ধান্ত নেবো না, সেটা যদি তারা করতে চায় আমরা সেটি করতে দেবো না। আমেরিকা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, তাদের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দরকার। আমরা তাদের কাছে নত হবো ন। আমরা ভারতের সাথেও বন্ধুত্ব চাই। সেটি অবশ্যই ন্যায্যতা এবং সাম্যের ভিত্তিতে, গিভ এন্ড টেকের সম্পর্ক।
আবীর