ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

নতুন করে দেশ বিনির্মাণে ‘আশার আলো’ দেখছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ১৫:২১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নতুন করে দেশ বিনির্মাণে ‘আশার আলো’ দেখছেন মির্জা ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত।

ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরে নতুন করে দেশ বিনির্মাণে ‘আশার আলো’ দেখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ আজকে অত্যন্ত আশাবাদী আমরা সবাই। সেই ফ্যাসিবাদের পরিবর্তন হয়েছে.. ফ্যাসিবাদ পালিয়ে গেছে এবং সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পালিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো তারা যে চেষ্টা করছে, তারা যে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে… সবশেষে ছাত্র-জনতার সমবেত প্রচেষ্টায় সেটা সম্ভব হয়েছে।”

‘‘ আজকে একটা আশার আলো সবাই দেখছে যে, আমরা নতুন করে বাংলাদেশকে গড়ে তুলব… সবাই একথাটা বলছেন। এটার জন্য সবার আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন এবং সত্যিকার অর্থেই আমরা যেন, সবাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যেকথাটা বলেছেন যে, বাসযোগ্য দেশ, সেই বাসযোগ্য দেশ তৈরি করবার জন্য সবাই যেন আমরা কাজ করতে পারি।”

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ‘র মরণোত্তর একুশে পদক প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভা হয়।

অন্তবর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহসহ ১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে ২০২৫ সালের একুশে পদক প্রদান করে। বৃহস্পতিবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব পদক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্র সাংবাদিক শহিদুল আলম ও শিল্পী রোকেয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

মাহফুজ উল্লাহ‘র প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ মাহফুজ উল্লাহর প্রতি আমাদের সন্মান দেখানো তখনই সফল হবে যদি তার অরাধ্য কাজটা করতে পারি। আমাদের অনেক বয়স হয়েছে এখন এখানে সব নবীনের আছেন, তুরণরা আছেন তারা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন। সেই চিন্তার মধ্যে কিন্তু সব সময়ই একটা জিনিস আমার কাছে মনে হয় এই কথাটা মনে রাখা সকলের দরকার, মাহফুজ উল্লাহর যেসব বিষয় অর্থাৎ তারও আগে এদেশকে সুন্দর করার জন্য যাদের অবদান সেই অবদানগুলো যেন কখনো ভুলা না যাই।”

‘‘ তাদের উপরই কিন্তু আমরা দাঁড়িয়ে আছি এবং আজকে যে আমরা সামনের দিকে এগুচ্ছি সেই এগিয়ে যাওয়াটা সম্ভব হবে।”

প্রয়াত মাহফুজ উল্লাহ একজন ‘প্রগতিশীল’ ‘দেশপ্রেমিক’ ‘মেধাবী’ সাংবাদিক হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘‘ তিনি কালোকে কালো, সাদাকে সাদা বলতে দ্বিধা করতেন না। যে কথাটা এখানে অনেকে বলেছে, তার যে বিতর্ক-তর্ক সেখানে তিনি অত্যন্ত সাবলীলভাবে তার বক্তব্যটুকু এমনভাবে উপস্থাপন করার তার যে সক্ষমতা ছিলো …প্রতিপক্ষ সেখানে নিসন্দেহে পরাজিত হতো।”

‘‘ মাহফুজ উল্লাহকে আমি মিস করি, সত্যিই মিস করি। তাকে হারানোয় সত্যিকার অর্থে আমাদের বিরাট শূণ্যতা সৃষ্টি করেছে। খুশি হয়েছি যে, তাকে অত্যন্ত মরণোত্তর রিকগনেশন পাওয়াটা।এজন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আর আসুন আমরা সবাই মাহফুজউল্লাহর আত্মার জন্য দেয়া করি এবং এই দোয়া করি যেন আমাদের সাংবাদিকরা সবাই চেষ্টা করে মাহফুজউল্লাহর মতো হতে।”

প্রয়াত মাহফুজ উল্লাহর বড় ভাই অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ‘র সভাপতিত্বে সাবাব রায়হান কবীরের সঞ্চালনায় এই আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ, নজমুল হক নান্নু, রাষ্ট্র বিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ, ওয়াশিংটনের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোর্জা, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী ও ডা. বজলুল গণি ভুঁইয়া, প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ‘র পুত্র মোস্তফা হাবিব বক্তব্য রাখেন।

নুসরাত

×