
ছবি : সংগৃহীত
রাজনীতিবিদরা খালি নিজের দলটা চেনে, আর মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, যত গোল টেবিল বৈঠক সবই ছিল, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদটি পাওয়ার জন্য শেখ মুজিবুর রহমান করেছেন। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালিরা চিরদিন সংগ্রাম করে এসেছে। এমনকি শেখ মুজিবুরের মৃত্যুর পর শুনলাম যে, তিনি নাকি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন ৩২ নম্বরে। তিনি জীবন দশায় কোনদিন বলেন নাই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা কলকাতা এবং আগরতলায় নিরুদ্ধে জীবন যাপন করেছে। আর কারা বাংলার পথের প্রান্তরে মেশিনগান, মটার, কামানের গুলির সাথে, বুক পেতে গিয়ে, মাইন্ড ফিল্ড অতিক্রম করে, শত্রুর সাথে হাতাহাতি-যুদ্ধ করে, তারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে।
জনগণের কাছে এই তথ্য তুলে দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা খালি নিজের দলটা চিনে, আর মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে। স্বাধীনতার পরে এমনকি শেখ মুজিবুরের মৃত্যুর পর শুনলাম যে, তিনি নাকি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন ৩২ নম্বরে। তিনি জীবন দশায় কোনদিন বলেন নাই, তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।
রাত ৯:৩০টার সময়, ২৫শে মার্চ, ৭১ এ, জনাব তাজউদ্দিন আহমেদ, তার কাছে টেপ রেকর্ডার নিয়ে গিয়েছিলেন, যে সেনাবাহিনী মুভমেন্ট শুরু করেছে, এখন একটা ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি বললেন যে না, পাকিস্তান আমি ভাঙতে পারি না। নেতা বললেন, আমি তাহলে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হবো। পাকিস্তান ভাঙ্গার দায়িত্ব আমরা নিব না। তারা যা কিছু সংগ্রাম-আন্দোলন, যত কথা কাটাকাছি, যত বাধা দেওয়া, যত গোল টেবিল বৈঠক, সবই ছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদটি পাওয়ার জন্য শেখ মুজিবুর রহমান করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা তাতে দোষও দিচ্ছি না। জনগণ ভোট দিয়েছে আওয়ামী লীগকে, তারা হতে পারে। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে যে, তারা গণতন্ত্র দেবে না এদেশে। তারা ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নিচ্ছে একটি গণহত্যা চালাবার। সেই প্রস্তুতি তারা বাস্তবায়িত করে ২৫শে মার্চ রাতে।
সেই দুঃসময়ে যখন রাজনীতিবিদরা কেবল নিজের জীবন নিয়ে পালিয়েছেন পাশের দেশে, জনগণকে রক্ষা করার জন্য কেউ ছিল না। এই সময় এগিয়ে এসেছেন জনগণের মান-সম্পদ, জনগণের মান-ইজ্জত, মা-বোনের ইজ্জত রক্ষার জন্য এগিয়ে এসেছেন, প্রতিরোধ সংগ্রাম করেছিলেন, মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা।
গণতন্ত্রকে বারবার, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালিরা চিরদিন সংগ্রাম করে এসেছে। পাকিস্তানের আন্দোলনের জন্য যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে পাক ভারত মহাদেশে, তখন একমাত্র বেঙ্গলে, তারা বহু মানুষ, বহু কর্মী জীবনের বিনিময়ে, গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য রাজপথে নেমেছিল।
আমি এখানে যারা তরুণ রয়েছে, যুবক রয়েছে, বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানাতে চাই, আপনারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৭ বছর ধরে যে আন্দোলন করেছে, সেই জন্য আজকের বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। আবার গণতন্ত্রের জন্য একটি সুযোগ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
মো. মহিউদ্দিন