
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম মন্তব্য করেছেন যে, বর্তমান সময়ে ছাত্রদলই সবচেয়ে বড় গুপ্ত সংগঠন।
তিনি দাবি করেন, এতদিন যারা ছাত্রদলের ব্যানার ধরার মতো কেউ ছিল না, এখন হঠাৎ করেই তারা সংগঠিত হতে শুরু করেছে।
শুক্রবার এক বক্তব্যে তিনি বলেন, "৫ আগস্টের পর আমাদের কর্মী ধার করতে হয়নি, বাইরের লোক এনে মিছিল-মিটিং করতে হয়নি, এমনকি অস্ত্রবাজ বা টেন্ডারবাজদেরও ব্যবহার করতে হয়নি। অথচ এখন ছাত্রদলের ব্যানারে অনেকে জড়ো হচ্ছে, যা স্পষ্ট করে যে তারা এতদিন গোপনে অন্য সংগঠনে অবস্থান করছিল।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৫ আগস্টের পর বিএনপি ও ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ২৫০০-এর বেশি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তিনি দাবি করেন, এসব সহিংসতার পুনরাবৃত্তি করেই ছাত্রদল ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্থিতিশীল করছে, যেখানে ছাত্রশিবির বরং একটি সুস্থ-সুন্দর ক্যাম্পাস গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে।
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ জন সদস্যের মধ্যে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে পাঁচজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগরেও ১৩-১৪ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাহলে গুপ্ত সংগঠন আসলে কারা?"
কুয়েতে ছাত্রদলের কর্মকাণ্ড নিয়েও তিনি অভিযোগ করেন, সেখানে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করার পরিপ্রেক্ষিতে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। তিনি দাবি করেন, ছাত্রদলের কর্মীরা স্থানীয় টোকাই ও অস্ত্রধারীদের নিয়ে হামলা চালিয়ে ১৫০ শিক্ষার্থীকে আহত করেছে।
তিনি বলেন, "আমরা প্রতিপক্ষ হিসেবে কাউকে দেখি না, বরং চাই ক্যাম্পাসে সুস্থ ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পরিবেশ বজায় থাকুক। তবে ছাত্র রাজনীতির নামে গুপ্ত সংগঠন পরিচালনা করা ও সহিংসতার পথ বেছে নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়।"
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/p9BgjuDZ-MA?si=MjPCpPKUFSmzFM4U
এম.কে.