ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

অধ্যাপক শাহীদুজ্জামান

‘আনারকলি এক্সপ্রেস’ নামে ঢাকা টু লাহোর ট্রেনলাইন চালু করা উচিত

প্রকাশিত: ০২:১১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

‘আনারকলি এক্সপ্রেস’ নামে ঢাকা টু লাহোর ট্রেনলাইন চালু করা উচিত

ছবি : সংগৃহীত

অধ্যাপক শাহীদুজ্জামান বলেন, আমরা যত বেশি চীনকে টানতে পারবো কাছে, ততই আমরা আমেরিকার কাছে, ইন্ডিয়ার কাছে, আরো বেশি ইম্পর্টেন্স গেইন করব। এটাই কিন্তু পাকিস্তান করতে পারছে ওভার দা ইয়ার্স। আমাদের ফরেন অফিস ইজ এক্সট্রিমলি ইন্ডোসেন্ট্রিক, ইন্ডিয়া সেন্ট্রিক ফরেন পলিসি।

ইন্ডিয়া এটা ভালো করে বোঝে যে, বাংলাদেশের দৌড় কতটুকু। এই আসপেক্টটা আমি ওইভাবে, এইজন্যই আমি মনে করি যে উই হ্যাভ টু প্লে গেম অফ জিওপলিটিক্স। বিকজ আমরা এখন কনশাসলি তো বে অফ বেঙ্গলে আমাদের প্রচুর রিসোর্সেস এক্সপ্লয়েট করতে হবে। সেগুলো এতগুলো বছরেও আমরা তেলও তুলতে পারি নাই, গ্যাসও তুলতে পারি নাই।

তিনি আরো বলেন, উই নিড সাম সর্ট অফ এ প্রটেকশন, জিওপলিটিক্যাল প্রটেকশন। চীন আমাদেরকে সেই অবস্থানটা দিবে। আর চীনের সাথে ভারতের যদি আমরা চিন্তা করি যে, সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়টা প্রায়োরিটি পাবে চায়নার কাছে। আমার মনে হয় যে, চায়নার অ্যাম্বিশনস আর ক্রুশিয়াল, স্পেশালি এই অরুণাচলের অংশটা আর এইদিকে ডোকলামের অংশতে, ডেফিনেটলি ওরা বে অফ বেঙ্গলের আসার ব্যাপারে যদি বাংলাদেশকে পায়, মায়ানমার কিন্তু ভেঙে যাচ্ছে রাষ্ট্র হিসেবে, হয়তো লুজ একটা স্টেট হিসেবে থাকবে।

কিন্তু একটা স্টেবিলিটি না থাকলে, স্টেট পাওয়ার স্টেবল না হলে, মায়ানমারের ফায়দাটা, চীন নিতে পারবে না, অতখানি রিলাই করতে, অল্টারনেটিভ উইথ বাংলাদেশ।

আমাদের এখান থেকে সাউদার্ন এক্সেস তারা পেতে পারে বে অফ বেঙ্গলে। আমরা যত বেশি চীনকে টানতে পারবো কাছে, ততই আমরা আমেরিকার কাছে, ইন্ডিয়ার কাছে আরো বেশি ইম্পর্টেন্স গেইন করবো। এটাই কিন্তু পাকিস্তান করতে পারছে ওভার দা ইয়ারস। আমাদেরও সেটা এখন ওই পথে যাওয়া উচিত।

শাহীদুজ্জামান বলেন, কানেক্টিভিটি একটা ইম্পর্টেন্ট। দেখেন আমরা সবসময় ভারতের সাথে আর্গিউ, আমার মনে হয় ‘কি টু আওয়ার ইকোনমিক গ্রোথ হচ্ছে ইন্ডিয়া-পাকিস্তান রিকনসিলিয়েশন’। পাকিস্তান কিন্তু যথেষ্ট এখন উন্নতি করেছে টেররিজম থামাতে। ইন্ডিয়া বারবার খালি পাকিস্তানকে টেরোরিজমের দিকে ঠেলে দেয়। এই যে বিয়োগান্তক অ্যাটিচিউড ইন্ডিয়ার, এটা থেকে বের হয়ে আসতে বাংলাদেশকে একটা বড় এটেম, আমাদের অর্থনৈতিক স্বার্থে।

যেমন দেখেন, আমরা বলি কানেক্টিভিটি, নেপালের সাথে, ভুটানের সাথে ট্রেন। এইখানে ট্রেন লাইন করে কি লাভ হবে! আমাদের ট্রেন লাইন করতে হবে ঢাকা টু লাহোর, আনারকালী এক্সপ্রেস নাম দিয়া।ইন্ডিয়াতে যদি আসামের আসামের দিবুগড় থেকে ডেইলি ট্রেন যায়, চারদিন লাগে বিকানের পর্যন্ত যায়, সেই রাজস্থান, পাকিস্তান বর্ডারের কাছে। চিন্তা করেন, চারদিনের ট্রেন জার্নি ডেইলি যাচ্ছে, ডেইলি আসছে, চারদিন। সেখান থেকে ঢাকা-লাহোর তো আরো অনেক কম, তিন দিনের জার্নি। এটা কি ইন্ডিয়া এফোর্ড করতে পারতো না, দিতে পারতো না! একটা ট্রেইন, কত টুরিস্ট এট্রাকশন হতো।

ইন্ডিয়াতে দেখতেছে তার নিজের স্বার্থ- এর জবাবে তিনি বলেন, এখানেই তো প্রবলেম, ইন্ডিয়া যেভাবে নিজের স্বার্থ দেখছে, এটা যে ওদের নিজেদের গলা কেটে, পা কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করা। এটা ইন্ডিয়ার জন্য, ইটস এ ভেরি আনরিয়ালিস্টিক পলিসি পাকিস্তানকে আইসোলেট করা। দেখেন শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের সাথে হাত মিলাতে যাচ্ছে। কি এমন ওরা করতে পারবে আফগানিস্তানের সাথে, চায়না সেখানে বসে গেছে। অথচ পাকিস্তানের সাথে তারা নরমালাইজ করতে চায় না।

মো. মহিউদ্দিন

×