ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

তারেক রহমান

ভারত পলাতক স্বৈরাচারকে মনে রেখেছে, বাংলাদেশের মানুষকে মনে রাখেনি

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ভারত পলাতক স্বৈরাচারকে মনে রেখেছে, বাংলাদেশের মানুষকে মনে রাখেনি

ছবিঃ সংগৃহীত

 তারেক রহমানবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভারত পলাতক  স্বৈরাচারকে মনে রেখেছে, বাংলাদেশের মানুষকে মনে রাখেনি,ভারত প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের মানুষের সাথে অপ্রতিবেশি মূলক আচরন করেই চলেছে।  

সকলের জানা আছে তিস্তার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পায় নাই। ভারত আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে প্রতিবেশী ভারত গজলডোবায় একটা বাঁধ নির্মাণ করেছে। এ বাঁধ দিয়ে স্বাভাবিক পানি প্রবাহকে তারা নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে এই প্রতিবেশী ভারতের কারণে আজকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে লাখো কোটি জনগণের পানির অভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার ফসল হঠাৎ নষ্ট হচ্ছে। 

মঙ্গলবার বিকালে জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’-স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তিস্তার পানি সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বন্যার কারণে এই অঞ্চলে এই  নদীর ভাঙন লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।

স্বৈরাচার ভারতকে যা দিয়েছে সেই ভারত সৈরাচারকে আশ্রয় দেওয়া ছাড়া বাংলাদেশকে কি দিয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যেই সমস্যা সমাধান স্বার্থ জড়িত থাকে। তারা বাংলাদেশের স্বার্থ দেখনি। জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকতে গিয়ে নিজেকে সে দাসীতে পরিণত করেছিল।

বাংলাদেশ ভারত যৌথ নদী কমিশন এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন পর্যন্ত সম্পূর্ণ অকার্যকর করে রেখেছিল।সারা দেশের মানুষ জানে এখনো ভারতের সাথে বাংলাদেশের বিরাজমান ফারাক্কা সমস্যার সমাধান হয়নি।জনগণের বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জনগণের বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তিও হয়নি অথচ সকল আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করে পলাতক খুনি স্বৈরাচার প্রতিবেশী দেশকে ট্রানজিট শিপম্যান্টের বন্দর ব্যবহারের একতরফা সুবিধা দিয়ে গেছে।

এইসব চুক্তিতে মিনিমাম ন্যায্যতা পর্যন্ত রক্ষা করে নাই।বাংলাদেশের মানুষ মনে করে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে প্রয়োজনে সকল অসম একতরফা যে সকল চুক্তি পূনঃ মূল্যায়ন  পুনঃ বিবেচনা করা দরকার।
বর্তমান বিশ্বে স্থায়ী শত্রু স্থায়ী মিত্র বলতে কিছু নেই,বরং একটি দেশের সঙ্গে অপর একটি দেশের সম্পর্ক হবে পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষার বলেও জানান তিনি। এসময় পাঁচ জেলার ১১ টি পয়েন্টের লালমনিরহাটের রেলওয়ে সেতু পয়েন্টে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, মহিপুর পয়েন্টে বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর অবঃ হাফিজ উদ্দিন বীর বীক্রম, তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ হাজার হাজার  নেতাকর্মী প্রধান অতিথির শ্রবন করেন।

জাফরান

×