
কক্সবাজার শহরের মুক্তিযোদ্ধা মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় সোমবার বিকেলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, "আওয়ামী লীগের রাজনীতির মৃত্যু হয়েছে, তাদের দাফনও সম্পন্ন হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে গণহত্যাকারী হিসেবে প্রমাণ করা হয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগ ও হাসিনার আর বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।"
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, "১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের বিজয়ের মধ্য দিয়ে মুসলিম লীগের চিরতরে বিদায় হয়েছিল। জনগণ তখন ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছিল। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে পাকিস্তানি শাসনের স্বপ্ন ধ্বংস হয়। এর পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে মুসলিম লীগ ও পশ্চিম পাকিস্তানের আধিপত্য চিরতরে শেষ হয়ে যায়।"
তিনি আরও বলেন, "১৯৭৫ সালে দলীয় শাসন কায়েমের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কবর রচনা করেছিলেন। এরপর ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের দাফনও সম্পন্ন হয়েছে।"
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, "১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের পতন হয়েছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে, ১৯৯০ সালে এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান হয়েছে, আর ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটেছে। জাতিসংঘ স্বীকৃত সবচেয়ে জঘন্য হত্যাকারী শেখ হাসিনার সরকার আজ ইতিহাসের কালো অধ্যায় হয়ে গেছে।"
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে, তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এটি এখন শুধু জনগণের কানে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব গণমাধ্যমের।
সালাহউদ্দিন আহমেদ কটাক্ষ করে বলেন, আওয়ামী লীগ এখন মৃত দল, কিন্তু দিল্লির ইশারায় মাঝে মাঝে কাফন সরিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছে। মুর্দা কখনো কথা বলে না, আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু হাসিনা মাঝেমধ্যে মৃত দল নিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে জনগণ সচেতন, তারা গণতন্ত্রের লড়াইয়ে জয়ী হয়েছে, আর আওয়ামী লীগ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, "বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ময়দান নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়েছে। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে এই গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, আর এই নতুন বাংলাদেশে হাসিনার কোনো জায়গা নেই। আওয়ামী লীগ অতীত, জনগণ তাদের চিরতরে প্রত্যাখ্যান করেছে।"
সূত্র: https://tinyurl.com/yve62u9n
আফরোজা