ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

যে নৌকা ডুবে গেছে, তা আর কখনও ভাসবে না: হাসনাত

প্রকাশিত: ২২:৩০, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যে নৌকা ডুবে গেছে, তা আর কখনও ভাসবে না: হাসনাত

ছবি: সংগৃহীত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, “যে নৌকা ডুবে গেছে, তা আর কখনও ভাসবে না।” আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছি এবং এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলেছি যে, যে নৌকা ডুবে গেছে, তা আর ভাসবে না। প্রথম ধাপে তাদের রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছি, যা তাদের কার্যত অচল করে দেবে। আমরা এই বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলকে ঐকমত্যে পেয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের অপশাসনের ধারা আর দেখতে চাই না। দেশের সুশাসন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। এটি বর্তমান প্রজন্মের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা।”

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। তিনি বলেন, “যদি রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের দায়বদ্ধ হতে হবে। আমরা খুনি দলের সঙ্গে কোনো আপস করব না।”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক
এদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।

এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুইদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

সায়মা ইসলাম

×