![সারাদেশে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীতা ঘোষণা সারাদেশে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীতা ঘোষণা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/৭-2502151509.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় সফর করছেন এবং সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। পাশাপাশি দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ পুনরুদ্ধারের আশাও করছে দলটি।
জামায়াতের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, তারা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই শেষ করেছে। যদিও এটি প্রাথমিক তালিকা, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। দলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তালিকায় থাকা প্রার্থীরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সম্ভাব্য প্রার্থিতা
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এবার দুটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন—ঢাকা-১৫ এবং তার নিজ জেলা সুনামগঞ্জের একটি আসন। দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার খুলনা-৫, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রাজশাহী-১, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ কক্সবাজার-২, প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ ময়মনসিংহ-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও নির্বাচনী বোর্ড পরিচালনার সভাপতি অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল সারাদেশের বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে রোকনদের মতামত নিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করেছে।
জামায়াতের ঘোষিত প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রার্থীদের ছবি ও প্রচারণামূলক পোস্ট শেয়ার করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতের কেন্দ্রীয় এক নেতা জনকণ্ঠকে বলেন, যে তালিকার কথা বলা হচ্ছে সেটি এক ধরনের প্রাথমিক তালিকা। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে ওই তালিকা আরও সংশোধন হতে পারে।
জামায়াতের ঢাকা বিভাগে সম্ভাব্য প্রার্থীরা
ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. মুহাম্মাদ হেলাল উদ্দিন ঢাকা-৮ আসনে, ঢাকা-৬ আসনে ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা-৭ আসনে ব্যবসায়ী নেতা আলহাজ্ব হাফেজ এনায়েতুল্লাহ, ঢাকা-১০ আসনে অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
শরীয়তপুরের তিনটি আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন—শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে ড. মোশাররফ হোসেন মাসুদ তালুকদার, শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া ও সখিপুর) আসনে অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল এবং শরীয়তপুর-৩ (ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা ও গোসাইরহাট) আসনে মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম।
ফরিদপুরেও দলটির একাধিক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ফরিদপুর-১ আসনে ইলিয়াছ মোল্লা, ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনে মাওলানা সোহরাব হোসেন, ফরিদপুর-৩ আসনে অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব এবং ফরিদপুর-৪ (ভাংগা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে মাওলানা সরোয়ার হোসেন নির্বাচনে অংশ নেবেন।
গোপালগঞ্জ-১ আসনে (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী আংশিক) জামায়াতের প্রার্থী আশরাফ ফারুকী, মাদারীপুর-৩ আসনে মো. রফিকুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়) আসনে ডা. আবু বকর সিদ্দিক এবং মানিকগঞ্জ-৩ (সদর-সাটুরিয়া) আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা দেলোয়ার হোসাইনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরের পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি। গাজীপুর-২ (গাজীপুর সিটির একাংশ ও টঙ্গী) আসনে মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য হোসেন আলী, গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর) আসনে গাজীপুর জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া ও সদর উপজেলা একাংশ) আসনে ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মহানগরীর মেট্রো সদর থানার আমির অধ্যক্ষ সালাহউদ্দিন আইউবী এবং গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলার একাংশ) আসনে মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য খায়রুল হাসান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
টাঙ্গাইল জেলার আটটি আসনে প্রার্থী মনোনীত করেছে জামায়াত। প্রার্থীরা হলেন—টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) অধ্যক্ষ মন্তাজ আলী, টাঙ্গাইল-২ (ভুঞাপুর-গোপালপুর) হুমায়ূন কবীর, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) হুসনে মোবরক বাবুল, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) প্রফেসর খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-৫ (টাঙ্গাইল সদর) আহসান হাবীব মাসুদ, টাঙ্গাইল-৬ (বাসাইল-সখীপুর) শফিকুল ইসলাম খান, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ তালুকদার এবং টাঙ্গাইল-৮ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) ডাক্তার আব্দুল হামিদ।
কিশোরগঞ্জের কয়েকটি আসনেও দলটি প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মোসাদ্দেক আলী ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে শফিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে মোহাম্মদ রোকন রেজা, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে রমজান আলী এবং কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে কবির হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
নারায়ণগঞ্জেও দলটির একাধিক প্রার্থী মনোনীত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে ড. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সিলেট বিভাগ
সিলেট বিভাগের ছয়টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। মনোনীত প্রার্থীরা হলেন—সিলেট-১ আসনে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট-২ আসনে প্রফেসর এম এ হান্নান, সিলেট-৩ আসনে মাওলানা লোকমান আহমদ, সিলেট-৪ আসনে জয়নাল আবেদীন, সিলেট-৫ আসনে হাফেজ আনোয়ার হোসেন খান এবং সিলেট-৬ আসনে ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন।
মৌলভীবাজারের চারটি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মৌলভীবাজার-১ আসনে মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মৌলভীবাজার-২ আসনে মো. শাহেদ আলী, মৌলভীবাজার-৩ আসনে মো. আবদুল মান্নান এবং মৌলভীবাজার-৪ আসনে মো. আবদুর রব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
হবিগঞ্জের চারটি আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন—হবিগঞ্জ-১ আসনে মো. শাহজাহান আলী, হবিগঞ্জ-২ আসনে শেখ জিল্লুর রহমান আজমী, হবিগঞ্জ-৩ আসনে অধ্যক্ষ কাজী মহসিন আহমেদ এবং হবিগঞ্জ-৪ আসনে কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান।
সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনেও দলটি প্রার্থী ঘোষণা করেছে। মনোনীত প্রার্থীরা হলেন—সুনামগঞ্জ-১ আসনে মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খান, সুনামগঞ্জ-২ আসনে আইনজীবী শিশির মনির, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে অ্যাডভোকেট ইয়াছিন খান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে মুহাম্মদ শামসউদ্দীন এবং সুনামগঞ্জ-৫ আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুস সালাম আল মাদানী।
ময়মনসিংহ বিভাগ
নেত্রকোনা জেলার পাঁচটি আসনে জামায়াত প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। মনোনীত প্রার্থীরা হলেন—নেত্রকোনা-১ (দূর্গাপুর-কলামাকান্দা) আসনে অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম, নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্রা) আসনে অধ্যাপক মাওলানা এনামূল হক, নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে দেলাওয়ার হোসেন সাইফুল, নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার এবং নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা।
শেরপুর জেলার তিনটি আসনে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন—শেরপুর-১ আসনে হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, শেরপুর-২ আসনে মো. গোলাম কিবরিয়া ভিপি এবং শেরপুর-৩ আসনে আলহাজ নুরুজ্জামান বাদল।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে মো. আব্দুল আওয়ালকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি।
ময়মনসিংহের ১১টি আসনের মধ্যে ১০টিতে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। মনোনীত প্রার্থীরা হলেন—ময়মনসিংহ-১ আসনে মাহফুজুর রহমান, ময়মনসিংহ-২ আসনে মাহবুব মণ্ডল, ময়মনসিংহ-৩ আসনে মাওলানা বদরুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৪ আসনে কামরুল আহসান, ময়মনসিংহ-৫ আসনে মতিউর রহমান আকন্দ, ময়মনসিংহ-৬ আসনে কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ-৭ আসনে আসাদুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৮ আসনে মঞ্জুরুল হক, ময়মনসিংহ-১০ আসনে ইসমাইল হোসেন এবং ময়মনসিংহ-১১ আসনে সাইফ উল্লাহ পাঠান। ময়মনসিংহ-৯ আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
বরিশাল বিভাগ
বরিশাল বিভাগের ২১টি নির্বাচনি এলাকার মধ্যে ১৮টিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াত।
বরিশাল জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে জেলা মজলিশে শূরার সদস্য মাওলানা কামরুল ইসলাম, বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে জেলা নায়েবে আমির মাস্টার আব্দুল মান্নান, বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে মহানগর জামায়াতের আমির জহিরউদ্দিন মু. বাবর, বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুন্নবী। বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি।
পিরোজপুর জেলার তিনটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। পিরোজপুর-১ (ইন্দুরকানী-সদর-নাজিরপুর) আসনে মাসুদ সাঈদী, পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-স্বরূপকাঠী) আসনে শামীম সাঈদী এবং পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে আব্দুল জলিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ঝালকাঠি জেলার দুটি আসনের মধ্যে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি, তবে ঝালকাঠি-2 (নলছিটি-ঝালকাঠি) আসনে শেখ নেয়ামুল করিমকে প্রার্থী করা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলার চারটি আসনে জামায়াতের প্রার্থীরা হলেন—পটুয়াখালী-১ (সদর-দুমকি-মীর্জাগঞ্জ) আসনে জেলা আমির নাজমুল আহসান, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, পটুয়াখালী-৩ (গলচিপা-দশমিনা) আসনে সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক শাহ আলম এবং পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম।
বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে জেলা আমির মাওলানা মহিবুল্লাহ হারুন এবং বরগুনা-২ (বামনা-বেতাগী-পাথরঘাটা) আসনে সাবেক মজলিশে শুরা সদস্য ডা. সুলতান আহম্মেদ মনোনয়ন পেয়েছেন।
ভোলার তিনটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। ভোলা-১ (সদর) আসনে জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম, ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসনে সাবেক জেলা আমির মাওলানা ফজলুল করিম এবং ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে সাবেক জেলা আমির মাওলানা মোস্তফা কামাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
খুলনা বিভাগ
খুলনা বিভাগে বিভিন্ন আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। খুলনা-১ আসনে আবু ইউসুফ, খুলনা-২ আসনে অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, খুলনা-৩ আসনে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খুলনা-৪ আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, খুলনা-৫ আসনে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং খুলনা-৬ আসনে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রার্থী হয়েছেন। ঝিনাইদহ-১ আসনে এস এম মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-২ আসনে অধ্যাপক আলী আজম মো. আবু বকর, ঝিনাইদহ-৩ আসনে অধ্যাপক মতিউর রহমান এবং ঝিনাইদহ-৪ আসনে মাওলানা আবু তালেব প্রার্থী হয়েছেন। কুষ্টিয়া-১ আসনে উপাধ্যক্ষ মাওলানা বেলাল উদ্দিন, কুষ্টিয়া-২ আসনে মো. আব্দুল গফুর, কুষ্টিয়া-৩ আসনে ফরহাদ হুসাইন এবং কুষ্টিয়া-৪ আসনে আফজাল হোসাইন প্রার্থী হয়েছেন। সাতক্ষীরা-১ আসনে অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ আসনে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ আসনে মুহাদ্দিস রবিউল বাশার এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনে গাজী নজরুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন। মেহেরপুর-১ আসনে মাওলানা তাজউদ্দিন খান এবং মেহেরপুর-২ আসনে মো. নাজমুল হুদা প্রার্থী হয়েছেন। নড়াইল-২ আসনে আতাউর রহমান বাচ্চু, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ প্রার্থী হয়েছেন।
বাগেরহাটের বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লারহাট-চিতলমারী) আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান খান, বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া) আসনে শেখ মঞ্জুরুল হক রাহাদ, বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ এবং বাগেরহাট-৪ (মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম প্রার্থী হয়েছেন। যশোর-১ (শার্শা) আসনে মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে মাওলানা আরশাদুল আলম, যশোর-৩ আসনে আব্দুল কাদের, যশোর-৪ আসনে অধ্যাপক গোলাম রসুল, যশোর-৫ আসনে অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক এবং যশোর-৬ আসনে অধ্যাপক মোক্তার আলী প্রার্থী হয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী-১ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, রাজশাহী-৩ আসনে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৪ আসনে ডা. আবদুল বারী সরদার, রাজশাহী-৫ আসনে নুরুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহী-৬ আসনে অধ্যাপক নাজমুল হক প্রার্থী হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ-১ আসনে মাওলানা শাহীনুর আলম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে অধ্যক্ষ আলী আলম এবং সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রার্থী হয়েছেন।
নওগাঁ-১ আসনে অধ্যক্ষ মাহবুবুল হক, নওগাঁ-২ আসনে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, নওগাঁ-৪ আসনে খন্দকার মুহাম্মদ আব্দুর রাকিব, নওগাঁ-৫ আসনে অ্যাডভোকেট আ স ম সায়েম, নওগাঁ-৬ আসনে মোহাম্মদ খবিরুল ইসলাম এবং নওগাঁ-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দীন, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে শাহাদাতুজ্জামান, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে দবিবুর রহমান, বগুড়া-৬ (সদর) আসনে আবিদুর রহমান সোহেল এবং বগুড়া-৩ ও ৭ আসনে প্রার্থীর তালিকা অপেক্ষমান রয়েছে। জয়পুরহাট-১ (জয়পুরহাট সদর-পাঁচবিবি) আসনে ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ এবং জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল এবং আক্কেলপুর) আসনে এস. এম. রাশেদুল আলম সবুজ প্রার্থী হয়েছেন। নাটোর-১ আসনে মো. আবুল কালাম আজাদ, নাটোর-২ আসনে অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী, নাটোর-৩ আসনে প্রফেসর সাইদুর রহমান এবং নাটোর-৪ আসনে মাওলানা আব্দুল হাকিম প্রার্থী হয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে ড. কেরামত আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ড. মিজানুর রহমান এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল প্রার্থী হয়েছেন।
পাবনা-১ আসনে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে আবু তালেব মন্ডল এবং পাবনা-৫ আসনে মো. ইকবাল হোসেন প্রার্থী হয়েছেন।
রংপুর বিভাগ
রংপুর বিভাগের দিনাজপুর-১ আসনে মো. মতিউর রহমান, দিনাজপুর-২ আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা এ কে এম আফজালুল আনাম, দিনাজপুর-৩ আসনে অ্যাডভোকেট ময়নুল আলম, দিনাজপুর-৪ আসনে মো. আফতাব উদ্দিন মোল্লা, দিনাজপুর-৫ আসনে শিক্ষাবিদ মো. আনোয়ার হোসেন এবং দিনাজপুর-৬ আসনে মো. আনোয়ারুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন। গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মাজেদুর রহমান, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে মাওলানা নজরুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে ডা. আবদুর রহীম, পঞ্চগড়-১ আসনে অধ্যাপক ইকবাল হোসেন এবং পঞ্চগড়-২ আসনে মো. সফিউল্লাহ সুফি প্রার্থী হয়েছেন। রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে মাওলানা মো. নুরুল আমিন, নীলফামারী-২ আসনে মো. মনিরুজ্জামান মন্টু, ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনে দেলাওয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর-রানীশংকৈলের একাংশ) আসনে মাওলানা আব্দুল হাকিম এবং ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈলের একাংশ) আসনে অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধান প্রার্থী হয়েছেন। কুড়িগ্রাম-২ আসনে অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী সরকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে ব্যারিস্টার মাহবুব আলম সালেহী, কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর) আসনে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক প্রার্থী হয়েছেন। কুড়িগ্রাম-১ আসনে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি।
চট্টগ্রাম বিভাগ
চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে আনোয়ারুল সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে শাহজাহান মঞ্জুর, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে ডা. আবু নাসের, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে ডা. ফজলুল হক, চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী-পাহাড়তলী–হালিশহর) আসনে অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে শফিউল আলম, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে ইঞ্জিনিয়ার লোকমান, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে ডা. শাহাদৎ হোসাইন, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে শাহজাহান চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে জহিরুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন। বান্দরবান-৩০০ নং আসনে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, রাঙামাটি-২৯৯ নং আসনে অ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদ এবং খাগড়াছড়ি-২৯৮ নং আসনে এয়াকুব আলী চৌধুরী প্রার্থী হয়েছেন।
কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট-সদর দক্ষিণ-লালমাই) আসনে মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত, কুমিল্লা-১১ আসনে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভুঞা) আসনে ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, লক্ষীপুর-২ (রায়পুর-সদর আংশিক) আসনে মাস্টার রুহুল আমীন, কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ এবং কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী প্রার্থী হয়েছেন।
মো. মহিউদ্দিন