![জাতিসংঘকে আন্তরিক মুবারকবাদ জানালেন জামায়াত জাতিসংঘকে আন্তরিক মুবারকবাদ জানালেন জামায়াত](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/13---2025-02-15T185604803-2502151257.jpg)
ছবিঃ সংগৃহীত।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন-এর তদন্ত প্রতিবেদনে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ‘সত্যতা’ উদ্ঘাটিত হওয়ায় হাইকমিশনকে আন্তরিক মুবারকবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যে অমানবিক ও নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে, তারই স্বীকৃতি পাওয়া গেল বিশ্ব সংস্থা জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন-এর তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে। খুনি এবং খুনিদের মাস্টারমাইন্ডদের তথ্য ও পরিচয় এই তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে জাতিসঙ্ঘ। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে ‘সত্য’ উদ্ঘাটিত হওয়ায় আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশেই যে গত জুলাই আগস্টে গণহত্যা সংঘঠিত হয়েছে তা জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন-এর মাধ্যমে বিশ্ববাসীর নিকট উন্মোচিত হলো। এতে গোটা জাতি স্বস্তিবোধ করছে এবং অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে আশান্বিত হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর নিকট স্পষ্ট হয়েছে যে, খুনি শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশে গণহত্যা সংঘটিত ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। খুনিদের মাস্টারমাইন্ড ও তার দোসরদের মাধ্যমেই দেশের নাগরিকদের ওপর অকথ্য জুলুম-নির্যাতন, গুম এবং চরম বীভৎস ও লোমহর্ষক গণহত্যা চালানো হয়েছে। লাশ স্তুপ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আয়নাঘর বানিয়ে দেশের মানুষকে গুম ও পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, মজলুমের পক্ষে নয় বরঞ্চ মজলুম বিষয়ে জাতিসংঘের এই রিপোর্ট গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সকল গণহত্যাকারী এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ মনে করে, গণহত্যার অপরাধে অপরাধী হিসেবে আওয়ামী লীগের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এই জনআকাক্সক্ষা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবির বিষয়টিও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।”
মুহাম্মদ ওমর ফারুক