![সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়: সিইসিকে জামায়াত সেক্রেটারি সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়: সিইসিকে জামায়াত সেক্রেটারি](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/১-15-2502130909.jpg)
ছবি: জনকণ্ঠ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ও সাবেক এমপি গোলাম পরওয়ার বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব জরুরি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তা শেষ হওয়ার পরই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। মোট ভোটের ভিত্তিতে সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব রাখার পক্ষেও দলের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা জানিয়েছেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, 'নো ইলেকশন উইদাউট রিফর্মস। অন্তত নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান জড়িত সেগুলোর সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে যে সময়টুকু প্রয়োজন সেটা দিতে হবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন, জনগণ চায় স্থানীয় সরকার সচল হোক।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিরোধিতার ব্যাপারে মন্তব্য চাওয়ে হলে তা এড়িয়ে যান গোলাম পরওয়ার। তবে তিনি বলেন, 'জনগণের আকাঙ্ক্ষা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হোক।'
জামায়াত ৩০০ আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক করার বিষয়ে মতবিনিময় হয়েছে। সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ২৩ দফা দাবি জানিয়েছি।'
সংস্কারের ব্যাপারে তিনি বলেন, 'সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করলে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সেই সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত। আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে বলেছি। বাংলাদেশের জন্য এটি প্রয়োজন, সংসদ কার্যকরের জন্য প্রয়োজন।...প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।'
আর দলের নিবন্ধন ফিরে পেতে আদালতে 'ন্যায়বিচার' পাওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে কঠোর আইনি বিধি বাতিল করা উচিত। সবার রাজনীতি করার অধিকার আছে।'
এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বিধি কঠোর, তা বাতিল করা উচিত। সবার রাজনীতি করার অধিকার আছে বলে জানান তিনি।
জাতিসংঘ জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যার্থ হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতিসংঘের সকল মেইলের রেসপন্স করেছে জামায়াতে ইসলামী।
এর আগে, অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। সেইসঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব ছিলেন। আর জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল, এডভোকেট মো. জসীম উদ্দীন সরকার সভাপতি, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, এডভোকেট এস. এম. কামাল উদ্দীন, কর্মপরিষদ সদস্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা মহানগর দক্ষিন, এডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, ডেপুটি এ্যাটর্নী জেনারেল, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
শিহাব