ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

দিনশেষে তুরুপের তাস কিংবা বলির পাঠা আলেম সমাজ আর মাদ্রাসার ছাত্ররাই!

প্রকাশিত: ০০:০১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দিনশেষে তুরুপের তাস কিংবা বলির পাঠা আলেম সমাজ আর মাদ্রাসার ছাত্ররাই!

ছবি: প্রতীকী

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বারবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসছেন আলেম সমাজ ও মাদ্রাসার ছাত্ররা। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, অতিরিক্ত আবেগ ও সুপরিকল্পনার অভাবে তারা বারবার রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, খিলাফত প্রতিষ্ঠার নামে এক ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে, অথচ সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ ও অনুশাসনের বাস্তব প্রয়োগ খুবই সীমিত। অধিকাংশ মুসলমানই ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামী অনুশাসন পুরোপুরি মানছেন না, এমনকি মৌলিক কিছু বিধানও অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রীয়ভাবে খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবি তোলা বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা

তারা আরও বলেন, ইসলামী সংস্কৃতি বিকাশে সামাজিকভাবে কাজ করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং আলেমদের মুক্তির লক্ষ্যে সংগঠিত আন্দোলনের পরিবর্তে কিছু অংশ উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিক বইমেলায় ঘটে যাওয়া ঘটনাই এর অন্যতম উদাহরণ, যেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে একদল মানুষ উসকানির ফাঁদে পা দিয়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হয়েছে, যা দেশের স্থিতিশীলতা ও ভাবমূর্তির জন্য হুমকিস্বরূপ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের অস্থির পরিস্থিতি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জন্যও সুবিধাজনক হতে পারে। তারা সতর্ক করে বলেছেন, দায়িত্বশীল আচরণ না করা হলে ধর্মীয় অনুভূতির অপব্যবহার করে বারবার একই ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে, যেখানে ভুক্তভোগী হবেন সাধারণ আলেম সমাজ ও মাদ্রাসার ছাত্ররা।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইসলামী অনুশাসনের বাস্তবায়ন, সামাজিক সংস্কৃতির বিকাশ এবং সুসংগঠিত আন্দোলনের অভাবেই আলেম সমাজের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ছে। অপরিকল্পিত ও আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্তের ফলে তারা রাজনৈতিক স্বার্থের খেলায় ব্যবহৃত হচ্ছেন। এখন সময় এসেছে বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবন করে সুপরিকল্পিত ও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণের।

এম.কে.

×