ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

৬ মাসেও স্বৈরাচার দোসরদের সরকার জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি

প্রকাশিত: ২১:৫০, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

৬ মাসেও স্বৈরাচার দোসরদের সরকার জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ছয় মাস, বিরাজমান রাষ্ট্র পরিস্থিতি বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে লিখিত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৬ মাসেও পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদেরকে আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি বলে জনমনে প্রতিভাত হয়েছে, ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার মতো বেআইনী কর্মকান্ডে উৎসাহিত হচ্ছে। একটি সরকার বহাল থাকা অবস্থায় জনগণ এভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিলে দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে। অথচ জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যূত্থানের আকাঙ্খা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল।

সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুসের সঙ্গে তার বাসভবন যমুনায় বৈঠকে তিনি এই লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন।  

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসীবাদী আওয়ামী দুঃশাসেন পতন হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থান বিজয়ী হয়েছে এবং সাংবিধানিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যে জনগণের বিপুল সমর্থন ও প্রত্যাশার উপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তী সরকারও ছয় মাস পার করেছে। কিন্তু জনপ্রত্যাশা বা গণঅভ্যূত্থানের আকাংখা কতটুকু এর মধ্যে পুরন হয়েছে তা একটি বিশাল প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে জনমনে। জনগণের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সরকার মুন্সিয়ানা দেখাতে পারছে না।  নির্বাচিত সরকার না থাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের গতি স্থবির হয়ে পড়েছে। কেননা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে উন্নয়ন সহযোগী দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন সংক্রান্ত অর্থনৈতিক চুক্তি করতে দ্বিধাগ্রস্থ থাকে। তাদের সঙ্গে কোন দেশ, সংস্থা কোন প্রকার সহযোগীতা চুক্তিতে আসতে আস্থা পায় না। উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেশ পিছিয়ে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ উত্তর রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে নানা প্রস্তাব আর মতামত উঠে এসেছে সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে, যার মূল ভিত্তিটা রচনা করেছে বিএনপি ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যূত্থানের অনেক আগে ২০২৩ সালের ১৩ই জুলাই। কিন্তু গণতান্ত্রিক শক্তি সমূহের অন্তর্ভূক্তি মূলক বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাব সমূহ গৃহীত এবং বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার প্রস্তাব গুলোর সাংবিধানিক ও আইনী ভিত্তি প্রদানের জন্য একটি নির্বাচিত সংসদই কেবল উপযুক্ত ফোরাম।

শিহাব

×