![ভাঙচুরের সংস্কৃতি তৈরি হলে ভবিষ্যতে নিজেদের বাড়িও রক্ষা পাবে না: গয়েশ্বর ভাঙচুরের সংস্কৃতি তৈরি হলে ভবিষ্যতে নিজেদের বাড়িও রক্ষা পাবে না: গয়েশ্বর](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/৩-65-2502091803.jpg)
ছবি: সংগৃহীত।
ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়ি ভাঙচুরের প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, "ভাঙচুরের সংস্কৃতি তৈরি করলে আগামী দিনে নিজেদের বাড়িঘরও ভাঙচুর হবে।"
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২ দলীয় জোটের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এই কর্মশালায় বিএনপির বিভিন্ন নেতা বক্তব্য দেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পতনের পর যদি ৬ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভেঙে সেখানে পুকুর তৈরি করে মাছ চাষ করা হতো, তাহলে কেউ কিছু বলত না। কিন্তু ছয় মাস পর কেন এ বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে? আমাদের এটি বুঝতে হবে। যদি অতীতের ট্র্যাডিশন আমরা নিজেরাই তৈরি করি, তাহলে ভবিষ্যতে আমাদেরও সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।”
ভারতে বসে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, “বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা উসকানিমূলক কথা বলেছেন, তিনি পাগল হয়ে গেছেন, মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে গেছে। কিন্তু তার কথায় আমাদের কান দেওয়ার দরকার কী? আমরা কেন ফাঁদে পড়ব?”
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “এই সরকার কী চায়, তা বোঝা যাচ্ছে না। এমনকি সরকার নিজেরাই হয়তো বুঝতে পারছে না। রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের দক্ষতা নেই, নিজেদের মধ্যেও সমন্বয় নেই। প্রধান উপদেষ্টার কথার সঙ্গে অন্য উপদেষ্টাদের কথার মিল নেই।”
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, “এক-এগারোর সময় সংস্কারের নামে কুসংস্কার তৈরি করা হয়েছিল। এই সরকারের যদি সত্যিই ভালো কিছু করার চিন্তা থাকে, তাহলে তারা বিএনপির ৩১ দফার ওপর কাজ করতে পারে। এত কমিশন গঠন করার কোনো দরকার নেই।”
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিএনপির ৩১ দফা প্রসঙ্গে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদি আমিন বলেন, "সংবিধান সংস্কারে কোনো অগণতান্ত্রিক বা অবৈধ সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই কেবল এই পরিবর্তন আনতে পারে।"
সায়মা ইসলাম