![হুমায়ূন আহমেদের বর্ণনায় আ. লীগ নেতা মোজাম্মেলের ধর্ষণ-হত্যার চিত্র হুমায়ূন আহমেদের বর্ণনায় আ. লীগ নেতা মোজাম্মেলের ধর্ষণ-হত্যার চিত্র](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/৩-51-2502080719.jpg)
ছবি: সংগৃহীত।
তৎকালীন টঙ্গীর আওয়ামী লীগ নেতা মোজ্জাম্মেল এক নববধূকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে উল্লেখ করছেন নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তিনি তার রাজনৈতিক উপন্যাস দেওয়ালের ৮৬ পৃষ্ঠায় এ ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন।
বর্ণিত তথ্যানুযায়ী, এক নবদম্পতি গাড়ীতে করে যাচ্ছিল। দুর্ধর্ষ সন্ত্রসী মোজাম্মেল দলবলসহ গাড়িটি আটক করে। গাড়ির ড্রাইভার ও নববিবাহিত তরুণীর স্বামীকে হত্যা করে। মেয়েটিকে সবাই মিলে ধর্ষণ করে। মেয়েটির রক্তাক্ত ডেড বডি তিন দিন পর টঙ্গি ব্রিজের নিচে পাওয়া যায়।
মেজর নাসেরের হাতে মোজাম্মেল ধরা পড়ার পর মোজাম্মেল বলল, ঝামেলা না করে আমাকে ছেড়ে দিন। আমি আপনাকে তিন লাখ টাকা দেব। বিষয়টা সরকারি পর্যায়ে নেবেন না। স্বয়ং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আমি ছাড়া পাব। আপনি পড়বেন বিপদে। আমি তুচ্ছ বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকে জড়াতে চাই না। মেজর নাসের বললেন, এটা তুচ্ছ বিষয়? তার উত্তরে মোজাম্মেল জবাব না দিয়ে, উদাস চোখে তাকাল। মেজর নাসের বললেন, আমি অবশ্যই তোমাকে ফাঁসিতে ঝোলাবার ব্যবস্থা করব। তোমার তিন লাখ টাকা তুমি তোমার গুহ্যদ্বারে ঢুকিয়ে রাখো!মোজাম্মেল বলল, দেখা যাক।
এরপর মোজাম্মেল ছাড়া পেয়ে মেজর নাসেরকে তার বাসায় পাকা কাঁঠাল খাওয়ার নিমন্ত্রন করেছিল।
উল্লেখ্য, সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকই সে মোজাম্মেল কিনা সে বিষয়ে দেয়াল উপন্যাসে বিস্তারিত কিছু লেখা না থাকলেও সম্প্রতি ফেসবুকে মোজাম্মেল হকের ছবি ও উপন্যাসেই সেই অংশ সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
সায়মা ইসলাম