![বগুড়ায় জাতীয় পার্টির কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিল বিক্ষুব্ধ জনতা বগুড়ায় জাতীয় পার্টির কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিল বিক্ষুব্ধ জনতা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/6-2502071431.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ ও জাসদের পর এবার বগুড়ায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কে অবস্থিত জাতীয় পার্টির অফিস গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়।
একই রাতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার আরও দলীয় কার্যালয়
এর আগে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত অফিস, টাউন ক্লাব এবং জাসদ কার্যালয়ও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, সন্ধ্যায় বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের নামফলক থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম মুছে ফেলা হয়। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে ১০তলা ভবনের নিচতলায় স্থাপিত নামফলক ভেঙে ফেলে।
এরপরই বিক্ষুব্ধরা সাতমাথায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালায়, আসবাবপত্র রাস্তায় বের করে এনে আগুন দেয় এবং পরে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি হিরো বলেন, “রাজনৈতিক সহিংসতা নতুন কিছু নয়। এর আগেও আমাদের দলীয় কার্যালয় আক্রান্ত হয়েছে। তবে এভাবে বুলডোজার দিয়ে দলীয় কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়া অত্যন্ত লজ্জাজনক ও দুঃখজনক।”
তিনি আরও বলেন, “ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাঙালির আবেগ, সেটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
বগুড়া সদর থানার ওসি একেএম মঈনউদ্দিন জানান, “সাতমাথায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।” তবে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ সময় হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে দলীয় কার্যালয় ভাঙার দৃশ্য দেখছিল। স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছেন, “এটি রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিবর্তনের অংশ, যেখানে জনগণের ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে।”
বগুড়াসহ সারা দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।
মো. মহিউদ্দিন