ছবি: জনকণ্ঠ
বিগত ১৬-১৭ বছর প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জ সন্ত্রাসের নগরী হিসেবে পরিচিত পেয়েছিল। গুম, খুনসহ সকল সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এখানে দিনের পর দিন আইনের চোখের সামনে সংঘটিত হয়েছে। আর এ সমস্থ কার্যকলাপ সংঘটিত হয়েছে একটি পরিবারের পৃষ্টপোষকতায়। এ লুটেরা গোষ্ঠী নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের নগরী বানিয়ে ফেলেছিল। ৭২ ফুট লম্বা ব্যানার টানিয়ে আমার পূর্ববর্তী আমিরে জামায়াতকে নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াত আয়োজিত আজ ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ৯ টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ওসমানী পৌর স্টোডিয়ামে জনসভায় এসব কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের গডফাদার যিনি ছিলেন তিনি তখনকার ডিসি এসপিকে বলেছিলেন আমার নামে খুনের একটি অগ্রিম মামলা দায়ের করুন। আমি গোলাম আযমকে হত্যা করবো। সেই সকল সন্ত্রাসীরা আজ কোথায়?
তিনি বলেন, এই দেশে কে কোন ধর্মের লোক, এই ধরনের প্রশ্ন অবান্তর। বাংলাদেশ ১৮ কোটি মানুষের একটি বাগান। আর একটি বাগানে এক রকমের ফুল থাকে না বিভিন্ন ধরনের ফুল থাকে। কোনও ফুলের গন্ধ আছে, কোনও ফুলের সৌন্দর্য আছে। সবকিছু নিয়ে একটি সুন্দর বাগান তৈরি হয়। গত ৫৩ বছরে এ ফুলের বাগানকে তছনছ করে ফেলা হয়েছে, জাতিকে বিভক্ত করা হয়েছে। সর্বপ্রথম এই দেশের মানুষকে তারা বাঙালি পাহাড়ি বলে বিভক্তি করেছে। পাহাড়িদের জাতিসত্তা গর্জে উঠেছিল, পাহাড়িদের হাতে প্রায় দশ হাজার লোক নিহত হয়। দ্বিতীয়বার ভাগ করা হয় স্বাধীনতার পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি বলে, গড়ে তোলা হয় প্রতিহিংসার রাজনীতি। এভাবেই জাতীকে বিভক্ত করে রাখা হয়েছিল। বিভক্ত জাতি কখনো নিজেদের উন্নতি করতে পারেনা। তিনি আরো বলেন আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করা হয়েছে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা দায়িত্ব পেলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করবো। যেখান থেকে কেরানী না হয়ে দেশের সুনাগরিক হবে। বাংলাদেশের গর্ব বুয়েট এখনো পর্যন্ত একটি সুইও এই জাতিকে উপহার দিতে পারে নাই। অথচ শিক্ষিতরাই দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিন আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মইনুদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য এডভোকেট মশিউল আলম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল মান্নান, নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির মমিনুল হক সরকার, মহানগরী নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, মুন্সীগঞ্জ জেলা আমির আ য ম রুহুল কুদ্দুস , নরসিংদী জেলা আমির মাওলানা মোছলেহুদ্দিন , ঢাকা জেলা আমির মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রেীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ডক্টর ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া, জেলা জামায়াত নেতা অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্লা, আনোয়ার হোসেন মোল্লা, মহানগরী শিবির সভাপতি হাফেজ মো ইসমাইল হোসাইন, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু সুফিয়ান।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন ও জেলা সেক্রেটারি হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত মজলিসের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিজানুর রহমান , মহানগরী সেক্রেটারি ইলিয়াস আহমদ, পূজা উদযাপন কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন,
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু পদ সাহা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পি । এসময় মহানগরী ও জেলার সকল কর্ম পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তাবিব