যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির এক নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে। সম্প্রতি, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ-উর রহমান এক টকশোতে অংশ নিয়ে ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টের রাজনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
উপস্থাপক যখন প্রশ্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট এর রাজনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে।তারেক রহমান সেখানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন,উনি যাননি কিন্তু তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে তাঁর মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা গিয়েছেন।বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন ড. জাহেদ-উর রহমান?
ড. জাহেদ-উর রহমান ব্যাখ্যা করেন, আমেরিকার বর্তমান প্রশাসন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিকে সমর্থন করছে এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কিছু গুজব উঠেছিল কেন তারেক রহমান আমেরিকায় যাচ্ছেন না, কিন্তু তার পরিবর্তে তার মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের সেখানে অংশগ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করছে।
ড. জাহেদ-উর রহমান জানান,তারেক রহমান যাননি, কিন্তু উনার কন্যাকে পাঠিয়েছেন,এটা একটি বড় রাজনৈতিক সিগন্যাল হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
তিনি মন্তব্য করেন, পারিবারিক রাজনৈতিক উত্তরাধিকার বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং জাইমা রহমানের অংশগ্রহণও সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। ড. জাহেদ-উর রহমান উল্লেখ করেন, "আমরা পারিবারিক লিগ্যাসি ছাড়াও চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি।" পারিবারিক লিগ্যাসি রাজনীতিতে ম্যাটার করে।এই পারিবারিক উত্তরাধিকার ধারাবাহিকতা না থাকলে দল থাকবে না। এটা ইন্ডিয়াতে,পাকিস্তানেও রয়েছে।
তিনি বলেন,আমাদের যেটা মাথায় রাখতে হবে সেটা হল যিনি আসছেন তিনি যথেষ্ট যোগ্য কি না?
ভারতের নেহেরু-ইন্দিরা গান্ধী এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, "রাজনৈতিক নেতৃত্বে প্রবেশ করতে হলে প্রস্তুতি নিতে হয়, ঠিক যেমন ইন্দিরা গান্ধী তার বাবার কাছ থেকে রাজনীতি শিখেছিলেন।"খুব ছোটবেলা থেকেই ইন্দিরাকে নেহেরু যেভাবে তৈরি করেছিলেন, বিশেষ করে কারাগারে থেকেও চিঠি লিখে মেয়েকে কী ভাবে রাজনীতির ট্রেনিং দিয়েছেন তা উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের পরিশ্রমের কারণে বিএনপি ভেঙে যায়নি এবং দলের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে। জাইমা রহমানের পছন্দও সেই ধারাবাহিকতার সাথে যুক্ত থাকতে পারে। তিনি জাইমার ভবিষ্যত নেতৃত্বের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়া, ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ড. জাহেদ-উর রহমান বলেন, এই আয়োজনটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় সভা নয়, বরং এটি বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একত্রিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। এখানে মতবিনিময়ের সুযোগ থাকে এবং বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও একাডেমিক নেতাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ হয়।
সূত্র:https://tinyurl.com/mr2ut97y
আফরোজা