ছবি: সংগৃহীত।
সন্ধ্যা থেকেই ধানমন্ডির আশেপাশে জড়ো হতে থাকে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা। তারা ইট, পাটকেল এবং বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করতে থাকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি, এবং এক পর্যায়ে আগুন দেয়া হয়। স্পষ্টতই, আজ ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভের শেষ অধ্যায় রচিত হচ্ছে।
ছাত্র-জনতা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙতে থাকে। তাদের বিক্ষোভ এবং স্লোগান অত্যন্ত তীব্র হয়ে ওঠে। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলা চালায়নি, পাশাপাশি তার স্মৃতিসৌধকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ইতোমধ্যে, বাড়িটি বুলডোজার ছাড়া ভাঙচুরের কারণে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে এবং অনেকেই বলছেন, বাড়িটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।
এসময় এক ছাত্র বলেন, "নিজ হাতে ভেঙে নিয়ে আসছি এই ইট, বাসায় নিয়ে যাব।" তিনি আরও বলেন, "এই বাড়ি থেকেই যে শাসনতন্ত্রের সূচনা হয়েছিল, যে রাজতন্ত্র স্থাপন হয়েছিল, তারই প্রতি প্রতিবাদস্বরূপ আজকের এই ইট। এই বাড়ির প্রতিটি ইট বাংলাদেশের জনগণ ভেঙে চুরমার করেছে। আমি আজ এই ইট হাতে নিয়ে শেখ হাসিনাকে বলতে চাই— তোমার সেই শাসন কোথায়? তোমার অহংকার কোথায়? বাংলার মানুষ তোমাকে ছাড় দেয়নি। বাংলার মানুষ তোমার বাবার বাড়ির ইট পর্যন্ত নিয়ে আসছে।"
তিনি আরও জানান, "এই ইট আমি আজীবন সংরক্ষণ করতে চাই। এটি যেন পরবর্তী যেকোনো রাজনৈতিক দলের জন্য সতর্কবার্তা হয়, যারা স্বৈরশাসন কায়েম করার চেষ্টা করবে। এটি একটি প্রতীক, যে বাংলার জনগণ তাদের বাড়ির ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে আসতে পারে। সুতরাং, এই ইটটি সকল স্বৈরশাসকের জন্য সাবধানতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে।"
নুসরাত