ছবি: সংগৃহীত
একটি মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় কেন্দ্র করে ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪জন আহত হয়েছে। এই ঘটনায় পদ হারিয়েছেন এই মারামারির ঘটনায় জড়িত কৃষক দলের দুই নেতা।
৪ ফেব্রয়ারি মঙ্গলবার রাতে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সংসদের দফতর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তি গনমাধ্যমে পাঠানো হয়। এর মধ্যে একটিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠন পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ফরিদপুর মহানগর শাখার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. ফরিদ শেখকে কৃষকদলের সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।
এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন এবং সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। অপর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সংসদের দফতর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত জানানো হয় সংগঠন পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদপুর মহানগর শাখা কৃষকদলের সাধারন সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জহির এর পদ স্থগিত করা হয়। জহিরুল ইসলামকে স্থায়ীভাবে কেন সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হবে না এই মর্মে আগামী ৩দিনের মধ্যে কারন দর্শীয়ে একটি লিখিত জবাব স্ব-শরীরে কেন্দ্রীয় কৃষকদল এর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নিকট প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুর সদরের বাহিরদিয়া বাজার এলাকায় মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় মহানগর কৃষকদলের সাধারন সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ও একই কমিটির ১নম্বর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফরিদ শেখের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
মহানগর কৃষক দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফরিদ শেখ জানান, জহিরুলের সমর্থক জাফর শেখ আমার সমর্থক খসরুর একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এটা ফেরত চাওয়ায় জহিরুল আর জাফর মিলে হামলা চালায়।
তবে মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম।
সাজিদ