ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যালয় যেন ভুতের বাড়ি! 

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যালয় যেন ভুতের বাড়ি! 

গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়

রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভবনটিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর আগস্ট মাসজুড়ে চলে লুটপাট। কেবল এই ভবনই নয়, রাজধানীর তেঁজগাওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়েও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকেও মালামাল লুট করে নেওয়া হয়। তখন থেকে এই তিন ভবন অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির নিচতলা লোকজন গণশৌচাগার হিসেবে ব্যবহার করছেন। উৎকট গন্ধের কারণে নাক চেপে মানুষ এই ভবনের সামনের অংশ পার হচ্ছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে ভবনের নিচতলায় গিয়ে প্রস্রাব করতে দেখা যায়। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের শৌচাগার হিসেবেও এই ভবনের নিচতলা ব্যবহার করা হচ্ছে।

ভবনটির ভেতরে প্রবেশের পর দেখা যায়, নিচতলায় দুটি কক্ষে নোংরা পানি জমে আছে। পুরো ফ্লোরে ময়লা–আবর্জনার স্তূপ। সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে দেখা গেল বাথরুম থেকে শুরু করে সব কক্ষের মালামাল লুট করার পর এসব কক্ষ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসবের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। প্রতিটি কক্ষের দরজাও খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দরজা খুলতে গিয়ে ভবনের দেয়াল ভাঙতে হয়েছিল। সেখানে ইটের খোয়া ও কাচের টুকরা পড়ে আছে। ছয়তলায় গিয়ে দেখা গেল, সেখানে কয়েকজন মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তাঁদের ছিন্নমূল মানুষ মনে হয়েছে। কত দিন ধরে থাকছেন জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁরা এই ভবনে আছেন। রাতে আরও অনেক লোক ভবনে আসেন বলে জানান তাঁরা।

ভবন থেকে বেরিয়ে কথা হয় এই কার্যালয়ের সামনের এক ভ্রাম্যমাণ দোকানির  জানান, প্রায় তিন যুগের বেশি সময় ধরে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ব্যবসা করেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এই দশা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। 

গুলিস্তানে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ১০ তলাবিশিষ্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি ২০১৮ সালের ২৩ জুন উদ্বোধন করেছিলেন দলের সভাপতি ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল।

শহীদ

×