ছবি: সংগৃহীত
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, দেশের বর্তমান সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কোনো স্বচ্ছ ধারণা নেই।
তিনি দাবি করেন, সরকার গঠনে কারা পরামর্শ দিয়েছেন, কাদের তালিকা অনুসারে উপদেষ্টারা মনোনীত হয়েছেন—এ সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোসহ সাধারণ জনগণের কোনো স্পষ্ট তথ্য নেই।
নুরুল হক নুর বলেন, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি দেশকে সংকট থেকে উত্তরণের স্বার্থে সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল, তবে ছয় মাসের পারফরম্যান্সে সরকারের দুর্বলতা ও অদূরদর্শিতা স্পষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, "বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে সরকারের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়। উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন করা প্রয়োজন এবং সরকারের যে প্রাথমিক ভুল ছিল—গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত না করা—তা সংশোধন করা জরুরি। আমরা সরকারকে অনুরোধ করব, মেজর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য।"
নুর আরও বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন করে আওয়ামী লীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট করেছে এবং বিদেশে পাচার করেছে। এই অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি দাবি করেন, "শুধু গণহত্যার জন্য নয়, দেশের অর্থনীতি যারা ধ্বংস করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। দেশের বাইরে পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনতে হবে।"
তিনি ছাত্রদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বের সমালোচনা করে বলেন, "আমরা হট্টগোল ও তদবির দেখছি, কিন্তু ধারাবাহিক কোনো কর্মসূচি দেখতে পাচ্ছি না। কারণ, ভোটের রাজনীতিতে সবাই আওয়ামী লীগকে তলে তলে কাছে চায়।"
নুর বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে স্পষ্ট করতে হবে তারা ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় কি না। এখানে কোনো দায়সারা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা আওয়ামী লীগের মতো গণহত্যাকারী রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে চাই না। অথচ যারা ক্ষমতায় যেতে চায়, তারা অলিখিতভাবে প্রশাসন, গণমাধ্যম ও ব্যবসায়িক মহলে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রশ্নে নীরব রয়েছে।
তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান স্পষ্ট করতে উদ্যোগ নিয়েছে এবং জনগণকে এই বাস্তবতা সম্পর্কে জানাতে কাজ করছে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/t9RSVWEdwlQ?si=IKqF60og4x6_t58s
এম.কে.