ছবিঃ সংগৃহীত
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং এক্টিভিস্ট পিনাকি ভট্টাচার্য তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। তিনি আগামী দিনের সংঘাত মোকাবিলায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সতর্ক করেন।
পিনাকি ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমান সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস আসীন হয়েছেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুপরিচিত এই অর্থনীতিবিদের প্রতি বিদেশি সংস্থাগুলোর আস্থা রয়েছে, ফলে তারা কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে তার সরকারকে সহায়তা করছে। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের জন্য রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হয়ে উঠবে বলে তিনি মনে করেন।
পিনাকির মতে, বিএনপি ২০২৬ সালে এক গভীর সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে। দেশের চলমান অস্থিরতা, সহিংসতা ও সংঘাতের পাশাপাশি পোশাক, কৃষি, অর্থনীতি ও ওষুধ শিল্পে সম্ভাব্য সংকট আসতে পারে, যার জন্য বিএনপি প্রস্তুত নয়। তিনি বলেন, বিএনপির কাছে এই সংকট মোকাবিলার জন্য সুস্পষ্ট কোনো রূপরেখা নেই, যা তাদের জন্য ভবিষ্যতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
পিনাকি ভট্টাচার্য দাবি করেন, বিএনপি ভারতের সঙ্গে সমঝোতা করে নির্বাচন চাইছে এবং সেই মোতাবেক আওয়ামী লীগকে সমর্থন ও পুনর্বাসন করছে। তার মতে, ভারতীয় আধিপত্য বজায় রাখতে ভারত আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের মাঠে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, আর বিএনপি ক্ষমতার আশায় ভারতের সঙ্গে মধ্যস্থতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তিনি মনে করেন, এভাবে ক্ষমতায় গেলে জনগণ তা সহজে মেনে নেবে না।
ভারতের বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, "এখন আওয়ামী লীগ-ভারতের বাসর চলছে, আওনারা ঐখানে ঢোকার চেষ্টা করবেন না। ভারতকে আপনারা এখনো চিনতে পারেন নাই।" তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৭ বছর ভারতের প্রেসক্রিপশনে চলেছে, আর যদি বিএনপি একই পথ অনুসরণ করে, তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ আরও কঠিন হবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যেখানে বড় দুই রাজনৈতিক দলের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিচ্ছে। পিনাকি ভট্টাচার্যের এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলো রাজনৈতিক মহলে আলোচনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এখন দেখার বিষয়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কীভাবে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করে আগামীর রাজনীতিতে এগিয়ে যায়।
আসিফ