ছবিঃ সংগৃহীত
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি গণতান্ত্রিক সংস্কার বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, সরকারকে মানবিক, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের সমান অংশগ্রহণ থাকবে।
নুরুল হক নুর অভিযোগ করেন, সরকার মূলত মানি-মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেটের নীতির ওপর নির্ভর করছে। তবে ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট না থাকলেও শেয়ারবাজার ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এ পরিস্থিতি এমন যে, একে দাঁড় করানোর জন্য "বাঁশের সাপোর্ট" দরকার। বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের সহায়তা না দিয়ে উল্টো জরিমানা করা হচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে সহায়তা করার দাবি জানান।
নুর বলেন, "আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে আন্দোলন করেছি, রক্ত দিয়েছি, কারাবরণ করেছি। অথচ সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনার বদলে নিজেদের মতো সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সরকারের এই মনোভাব জমিদারি মানসিকতার প্রতিফলন।"
তিনি আরও বলেন, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা শেয়ারবাজার সংকট মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু চিঠি চালাচালি করছে, যা দুঃখজনক। তিনি এ বিষয়ে সিকিউরিটি এক্সচেন্জ কমিশন, সরকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য মন্তব্য করেন, "এ জাতির দুর্ভাগ্য, যে-ই ক্ষমতায় বসে, সে-ই জমিদার হয়ে যায়।"
নুরুল হক নুর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সরকার, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজার নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। অন্যথায় কেউই তাদের চেয়ার ধরে রাখতে পারবে না।
ড. মোহাম্মদ ইউনুসের প্রসঙ্গে নুর বলেন, "সূর্যমুখীর ২য় তলার কারাগার তার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল।" একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, গত ১৭ বছরে হাজারো হত্যাকাণ্ডের পরও শেখ হাসিনা সরকার কোনো মানবিকতা দেখায়নি, বরং শুধু ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আবেগ দেখিয়েছেন।
নুর আরও বলেন, চলমান আন্দোলনের কৃতিত্ব কোনো নির্দিষ্ট দল নিতে পারবে না। এটি জনগণের সংগ্রাম, যেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সম্পৃক্ত।
আসিফ