ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ

আবিদুর রহমান নিপু, ফরিদপুর।

প্রকাশিত: ২০:২৪, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ

ফরিদপুর শহরতলির কানাইপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় সংঘর্ষে নেতৃত্ব দেওয়া দুই নেতার বাড়িসহ অন্তত ২০টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দফায় দফায় দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ফুসরা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কানাইপুরের ফুসরা গ্রামে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাশেম খান। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্কাস মাতুব্বর। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এলাকার একটি পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দুই পক্ষের দুই সমর্থকের মধ্যে প্রথম কথা-কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।সোমবার সকাল ৮টার দিকে বিএনপি নেতা হাশেম খানের সমর্থকরা পার্শ্ববর্তী সালথার গোট্টি ইউনিয়নের ভাবুক থেকে কয়েকশ লোক নিয়ে এসে আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাস মাতুব্বরের বাড়িসহ তার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর করে। এসময় তারা ১০ লক্ষাধিক টাকার গরু-ছাগল লুটপাট করে নিয়ে যান। পরে আক্কাস মাতুব্বরের সমর্থকরা সংঘঠিত হয়ে বিএনপি নেতা হাশেম খার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনায় কমপক্ষে ৮-১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ বিষয়ে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আক্কাস মাতুব্বর ও হাশেম খানের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আজ দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাস মাতুব্বর বলেন, ‘হাশেম খানের সমর্থকরা অতর্কিতভাবে আমারসহ আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এসময় তারা ১০ লাখ টাকার গরু-ছাগল লুটপাট করে।জানতে চাইলে বিএনপি নেতা হাশেম খান বলেন, ‘আক্কাস মাতুব্বরের অভিযোগ সঠিক নয়। তান সমর্থকরা আমার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে।এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জনকণ্ঠ কে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নুসরাত

×