ছবিঃ সংগৃহীত
জামায়াত কর্মী ওয়ারেছ আলী (৫৫) হত্যার ঘটনায় দীর্ঘ ১২ বছর পর সোমবার সিরাজগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের এনায়েতপুর থানা আমলী আদালতে মামলা হয়েছে। এ মামলায় এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আহম্মেদ মোস্তফা খান বাচ্চু, সহ-সভাপতি রাসেদুল ইসলাম সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বিএসসি ও জয়নাল আবেদীনসহ আওয়ামী লীগের ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের আরও ৩৫ থেকে ৩৬ জন নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবি আবু তালেব আকন্দ এই মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এনায়েতপুর থানা আমলী আদালতের বিচারক ওমর ফারুক মামলাটি আমলে নিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওয়ারেজ আলী জামাায়াতে ইসলামীর এনায়েতপুর থানার একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ভোরে এনায়েততপুর হাটে কাপড় বিক্রি শেষে প্রতিবেশী হাফেজ আল-আমিনের সঙ্গে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন।
এক পর্যায়ে সকাল ১১ টার দিকে এনায়েতপুর থানার দক্ষিণ পাশের সোনালী ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওয়ারেছ আলী মাটিতে নুয়ে পড়েন। তার সঙ্গে থাকা কাপড় বিক্রির ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে হত্যাকারিরা পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওয়ারেছ আলীকে উদ্ধার করে খাজা ইউনুস আলী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আসিফ