ছবি: সংগৃহীত
প্রাণঘাতী ক্যান্সারে আক্রান্ত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমতাবস্থায় তার নেই কোনো রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা। যতদিন বেঁচে থাকবেন রাজনীতি ছেড়ে পরকালের পাথেয় জোগাড় করতে চান তিনি।
শেখ হাসিনার স্বাক্ষর করা এমনই একটা বিবৃতি সামজিকমাধ্যমে ঘুরছে। এবার সেই বিবৃতিটির সত্যতা যাচাই করেছে ফ্যাক্ট চেকিং প্লাটফর্ম রিউমার স্ক্যানার।
গত ২৯ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি। ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ, ১৬ই ফেব্রুয়ারি অবরোধ কর্মসূচি এবং ১৮ই ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপি সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল করবে দলটি।
এছাড়াও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতি ও সেক্রেটারির সই করা সেই বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
সম্প্রতি শেখ হাসিনার দেয়া বিবৃতি দাবি করে ফেব্রুয়ারিতে হরতাল ও আন্দোলন বিষয়ক জরুরি বিজ্ঞপ্তি শীর্ষক শিরোনামে একটি বিবৃতির ছবি সামাজিক মাধ্যমে ঘুরছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রিয় দেশবাসী আপনারা নিশ্চই অবগত আছেন যে আমি শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ। প্রাণঘাতী ক্যান্সার আমাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমার কোনো প্রকার ক্ষমতা বা রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আমি আজ স্পষ্ট জানাচ্ছি যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ হ্যাক করে বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা বিভিন্ন উস্কানিমূলক প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়ে আওয়ামী লীগের শান্তিপ্রিয় নেতাকর্মীদেরকে হরতাল-অবরোধসহ জ্বালাওপোড়াও কর্মসূচির দিকে চালিত করছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ঘৃণার কাজ। আমি বারবার বলেছি আমি এখন শান্তি চাই, পরকালের পাথেয় জোগাড় করতে চাই। আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই আমি এখনো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং আমি এসব সন্ত্রাস ও জ্বালাওপোড়াও কর্মসূচির সাথে আমার বা আমার দলের কোনো সম্পর্ক নেই। এমতাবস্থায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই এসকল দুর্বৃত্ত, আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন এবং তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
তবে সেই বিবৃতি আসল নয় বলে জানিয়েছে ফ্যাক্টচ্যাক প্লাটফর্ম রিউমার স্ক্যানার। প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনা এমন কোনো বিবৃতি দেননি। রিউমার স্ক্যানার বলছে বিবৃতির ছবিতে ভারতের জাতীয় প্রতীক, হিন্দি ও বাংলার সংমিশ্রণ, শেখ হাসিনার নাম হিন্দি ও ইংরেজীতে থাকার মতো অসঙ্গতি দেখা যায়।
শেখ হাসিনা কোনো বিবৃতি দিলে স্বাভাবিকভাবে তাতে এসব তথ্য থাকার কথা নয়। এছাড়া বিবৃতিতে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ হ্যাক করার দাবী করা হলেও এমন কোনো গণমাধ্যম বা আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ভিডিও লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=YhKiZEXQht4
শিহাব