ছবি: সংগৃহীত।
নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ এবং নির্বাচনী জোট নিয়ে দেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা চলছে। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল, বিএনপি এবং জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনকে নিজেদের সঙ্গে রাখার জন্য লড়াই করছে। একসময় রাজপথে মিত্র বিএনপি ও জামায়াত এখন একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও, বর্তমানে তারা ইসলামী আন্দোলনকে নিজেদের দিকে টানতে চাচ্ছে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে গত এক সপ্তাহে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ২১ জানুয়ারি চরমোনাইয়ে জামায়াতের আমিরের সফরের পর ঐক্যের বাতাস বইতে থাকে, এরপর ২৭ জানুয়ারি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর ইসলামী আন্দোলনের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাৎ থেকে দশটি বিষয়ের ওপর ঐক্যমতের কথা জানা যায়, যা আগামী নির্বাচনে দুটি দলই ইসলামী আন্দোলনকে নিজেদের শক্তি হিসেবে মনে করছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের শাসনের অবসান হয়ে গেছে শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে, এবং এখন দলের অস্তিত্ব সংকটে। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষত সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন যে, নির্বাচনে অংশ নেয়া তাদের জন্য সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে বিএনপি ও জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনকে নিজেদের পাশে রাখতে চায়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তবে তারা ইসলামপন্থী বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। পাশাপাশি, আন্দোলনকারী ছাত্রদের দল গঠন হলে তারা একই ভোটব্যাংক দখলের জন্য লড়াই করবে।
আগামী নির্বাচন এবং ইসলামী দলগুলোর গুরুত্ব এখন দেশের রাজনীতিতে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নুসরাত