
ছবি: সংগৃহীত।
ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটি থেকে ছাত্রদলের ছয় কর্মী পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক লিখিত ঘোষণার মাধ্যমে তারা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পদত্যাগকারীদের তালিকা:
১. কাওসার হাসান মিয়াদ
২. আহসান উল্লাহ হৃদয়
৩. রিসাদুল আলম প্রিন্স
৪. তানজিনা ইমি
৫. সাদিয়া জাহান মিম
৬. মেহেদী হাসান চঞ্চল
লিখিত ঘোষণায় তারা জানান, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদল ময়মনসিংহ মহানগর ও উত্তর-দক্ষিণ জেলা কমিটির নেতাদের নির্দেশে তারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জাতীয়তাবাদের চেতনা থেকে তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন এবং ৩৬ জুলাই ফ্যাসিস্টদের পরাজয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেন।
তারা আরও অভিযোগ করেন, ২৬ জানুয়ারি ঘোষিত ময়মনসিংহ মহানগর ও জেলা কমিটিতে তাদের কোনো পূর্বানুমতি না নিয়েই পদায়ন করা হয়েছে। সংগঠক, সহ-মুখপাত্র, যুগ্ম সদস্য সচিবসহ বিভিন্ন পদে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হলেও এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি।
ঘোষণাপত্রে তারা উল্লেখ করেন, “আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক। আমাদের না জানিয়ে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সজ্ঞানে এ কমিটি থেকে পদত্যাগ করছি এবং এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।"
ছাত্রদল কর্মী কাওসার হাসান মিয়াদ বলেন, “আমি আনন্দ মোহন কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। দীর্ঘ পাঁচ-ছয় বছর ধরে শহীদ জিয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। আমাদের অনুমতি ছাড়া কমিটিতে নাম সংযুক্ত করা হয়েছে, যা রাজনৈতিকভাবে আমাদের বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে মনে করছি।”
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্য সচিব আলী হোসেন বলেন, “আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা যাচাই-বাছাই করেই কমিটি গঠন করেছেন। পদত্যাগকারীরা আমাদের প্রতিটি মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের আগ্রহের ভিত্তিতেই কমিটিতে রাখা হয়েছিল। হয়তো তারা আশানুরূপ পদ পাননি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। এ কারণে তারা পদত্যাগ করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কমিটিতে অন্য দলের কেউ থেকে থাকে এবং তারা পদত্যাগ করতে চান, সেটি তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।”
সায়মা ইসলাম