ছবি: সংগৃহীত।
ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণার গান "জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা" গানের সাথে ছাত্রীদের নেচে-গেয়ে উল্লাসের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে। এই ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা এবং সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনাটিকে অনিচ্ছাকৃত এবং ভিডিও ধারণকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এটির ঘটনা ঘটেছিল গত রোববার (২৬ জানুয়ারি) ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। ওইদিন সকাল সাড়ে দশটার দিকে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, প্রতিযোগিতার বিরতির সময় একদল মেয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে উল্লাস করছে, আর অনুষ্ঠান সাউন্ড সিস্টেমে বাজছে গান "কোটি মানুষের একটাই ডিসিশন, জিতবে নৌকা, নাই কোন টেনশন, জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা।"
প্রথমে ভিডিওটি এডিট করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও পরে জানা যায় যে, এটি ওই অনুষ্ঠানেরই ধারণ করা একটি মুহূর্তের অংশবিশেষ। ঘটনার পাঁচদিন পরে আল আমীন রহমান নামে এক ব্যক্তি ভিডিওটি তার ভেরিফাইড ফেসবুকে পোস্ট করেন। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি।
এ বিষয়ে ভিডিও পোস্টকারী আল আমীন রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা বেগম বলেন, "ওইদিন দুপুরে টিফিনের সময় মেয়েরা স্কুলের মাঠে আনন্দ করছিলো। এসময় মাইকে অন্য গান বাজছিলো। হঠাৎ করে ওই গানটি মাইকে বেজে ওঠে। বিষয়টি বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে মাইকের গানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটেছে, আসলে এটি ইচ্ছাকৃত ছিল না।"
তিনি আরও বলেন, "ঘটনাটি সত্যি, তবে আমাদের প্রশ্ন হলো, ভিডিওটি ধারণ করলো কে এবং সেটি প্রচার করলো কে? এ বিষয়টি জানার জন্য স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক পাপড়ি বাড়ৈকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববারের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে। পরবর্তীতে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে।"
সায়মা ইসলাম