ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১

ভাঙচুর-হুমকি দেওয়া শেষে উপাচার্যের কাছে ৯ দাবিতে স্মারকলিপি ছাত্রদলের

নিজস্ব সংবাদদাতা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ভাঙচুর-হুমকি দেওয়া শেষে উপাচার্যের কাছে ৯ দাবিতে স্মারকলিপি ছাত্রদলের

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) রেজিস্ট্রার অফিসে ভাঙচুর ও পদ ছাড়তে রেজিস্ট্রারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তা তারা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং অর্থ ও হিসাব শাখার বিভিন্ন দফতরে গিয়ে হুমকি প্রদান ও  দরজা-জানালায় আঘাত করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে উপাচার্যের কাছে ৯ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান তার অফিসে নাস্তা করছিলেন। এসময় ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ সহ ১০-১২জন নেতাকর্মী তার রুমে ঢুকেন। এসময় রেজিস্ট্রারের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং পরবর্তী দিন থেকে অফিসে না আসার জন্য হুমকি দেন। পরে তারা টেবিলের উপর থাকা নাস্তার কাপ-পিরিচগুলো ভেঙে চলে যান। সরেজমিনে গিয়ে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে ভাঙা কাপ-পিরিচ দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, রেজিস্ট্রার অফিস ছাড়াও তারা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর, অর্থ ও হিসাব শাখার কিছু দফতরে গিয়ে হুমকি ও স্বশব্দে দরজা-জানালায় আঘাত করেন। এছাড়াও তারা রেজিস্ট্রারের সহধর্মিণী অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-হিসাব পরিচালক রুবিনা আক্তারের অফিসের  চেয়ারটি টেবিলের উপর তুলে রেখে যান। তবে এসময় রুবিনা আক্তার অফিসে ছিলেন না। শাখা ছাত্রদলের সাহেদ আহম্মেদের নেতৃত্বে এসব ভাঙচুর ও হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। বিভিন্ন অফিসে ভাঙচুর ও হুমকি প্রদান শেষে স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণসহ ৯ দফা দাবি নিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।  
 
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘১০-১২ জন হঠাৎ রুমে প্রবেশ করে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় বলে- তুই এখনো এখানে বসে আছিস কেন? কালকেই এখান থেকে সরে যাবি। নাহলে পরিণতি আরও খারাপ হবে। পরে তারা কাপ-পিরিচ গুলো ভেঙে চলে যায়। প্রকিউরমেন্ট এন্ড স্টোর শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মীর মো. মোর্শেদুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী আমার রুমের সামনে এসে চেঁচামেচি করেছে এবং আমাকে শাঁসিয়েছে।’
 
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন বলেন, আমরা রেজিস্ট্রারের অফিসে গিয়েছিলাম। তার কাছে জানতে চেয়েছি আওয়ামী দোসর হিসেবে কীভবে এখনো পদে বহাল থাকে? আমরা ভাংচুর করিনি। আমাদের আহ্বায়ক সহ সবাই ছিল সেখানে।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার মন্তব্য নেই। খোঁজখবর নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

আসিফ

×