ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বগুড়া জেলা কমিটিতে ‘অছাত্র’ ও ‘দুর্নীতিবাজরা’ স্থান পেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংগঠনের একাংশ আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ পকেট কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় বগুড়া জেলা স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমান, শাহরিয়ার সিমান্ত, সংগঠক শাহ সুলতান, তৌকি তাহমিদ, বগুড়া জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী মো. মেহেদি হাসান শাহেদ, আল তুরাগ হুসাইন, মাহমুদুন্নবী মারুফসহ আন্দোলনে অংশ নেওয়া জিলা স্কুল, বিয়াম মডেল স্কুল, প্রি-ক্যাডেট স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বগুড়া জেলার কিছু বহিরাগত চোর, বাটপার, ধান্দাবাজ বগুড়া জেলার একটা সিন্ডিকেট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি করছে। যেখানে অছাত্র, ফুল বিক্রেতা, দুর্নীতিবাজরা স্থান পেয়েছে। আমরা বগুড়া জেলার মাটির সন্তানরা বিগত ১৫ বছর সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার। জুলাই বিপ্লবে ১৯ জন শহীদের রক্তের বগুড়ায় আমরা আবারও বঞ্চিত হলাম। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা এই ছাত্রলীগের মত সিন্ডিকেট কমিটি মানি না, মানব না।
কেন্দ্রীয় সকল নেতাদের কাছে অনুরোধ করে তারা বলেন, এই তেলবাজ কমিটি বিলুপ্ত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কলঙ্ক মুক্ত করে, পুনরায় বগুড়ার সব ছাত্রদের সমন্বয়ে সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য কমিটি করবেন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার ভেতরে বর্তমান কমিটি বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে গত ২৯ জানুয়ারি ঘোষিত বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়া জেলার আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পাওয়া যুগ্ম আহ্বায়ক, সামিউল ইসলাম সৌধ, যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার সিমান্ত, সংগঠক শাহ সুলতান নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ ঘোষণা করেন।
শিহাব