ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ রেলওয়ের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আন্দোলন করে দেশজুড়ে মানুষের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। এরপর গত বছরের শুরুতে ক্যাম্পাসে চা বিক্রেতা হয়ে আবারও আলোচনা আসেন তিনি। সর্বশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিয়ে ছিলেন আলোচনায়।
সামজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আজ তিনি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের স্মৃতিবহুল দিনের একটি স্মরণীয় মুহূর্ত তুলে ধরেন। জনকণ্ঠ পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
“পুরো দেশে কার্ফিউ। বিশ্ববিদ্যালয়, হল সব বন্ধ। ঢাকার প্রতিটি বাসায় বাসায় তল্লাশী চলছে, বাসায় কোনো স্টুডেন্ট আছে কি না। জয়াকে বাড়ি যেতে কোনোভাবেই রাজি করানো যাচ্ছিলো না। যা কিছু হয়ে যাক সে ঢাকা ছাড়বে না। তার কি জেদ। কাকা-কাকি, দিদি সবার দিব্যি কেটে কোনোমতে নিমরাজি করানো গেলো।
যাওয়ার আগে জয়া আচমকা একটা খাম হাতে ধরিয়ে বললো, ''আপনার পাসপোর্টটা করিয়ে ফেলেন প্লিজ। আমি অনেকজনের সাথে কথা বলে রেখেছি। আপনার ভিসা, টিকেটের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আপনার হাতে ধরি, পায়ে পরি।প্লিজ চলে যান। নয়তো ওরা আপনাকে পেলে শেষ করে ফেলবে।''
জয়ার কথা শুনে নিস্তব্ধ হয়ে গেলাম। অনুভব করলাম বুকের ওপর মহাকাশ থেকে একটা উল্কা এসে পরলো। ফুপিয়ে ফুপিয়ে জয়া কান্না করছে। কিছু বলার শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ বলতে মন চাইলো, তোর ভাই তোকে অনেক ভালোবাসে। ভালো থাকিস জয়া। জয়া ততক্ষণে বাইকের পেছনে চেপে অনেক দূর চলে গেছে।”
জুলাই স্মৃতি ২০২৪
শিহাব