ছবি: সংগৃহীত
টেলিটক সিমের উন্নতি করতে ৬ মাস সময় দেওয়া হলেও এই সময়ের মধ্যে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি, এমন অভিযোগ তুলেছেন বর্তমান আমজনতার দলের সদস্যরা। উপদেষ্টা নাহিদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, টেলিটক সিমে নেটওয়ার্কের উন্নতি না হওয়া এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কিছুই করার চেষ্টা না করা এক ধরনের দায়িত্বহীনতা এবং অবহেলা। "আপনি যদি নিজের কাজ বাদ দিয়ে টেলিটক সিমের উন্নতি করতে না পারেন, তবে ইন্টারনেটের বিল কেন বাড়ানো হবে?"—এমন প্রশ্নও উঠে এসেছে।
এছাড়া, আসিফ মাহমুদ ভাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ১০৮ কোটি টাকা উদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়ন না করে বরং তিনি একের পর এক মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি নিচ্ছেন। সমালোচকরা প্রশ্ন তুলেছেন, যদি তিনি বাস্তবে জনগণের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন, তবে কেন এমন দায়িত্বহীন আচরণ করছেন? ‘‘ক্ষমতার জন্য দায়িত্ব নেন, আবার ক্ষমতার জন্যই তা ছাড়েন’’—এমন অভিযোগও রয়েছে।
এছাড়া, ২০১৩ সালের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া নাগরিক সমাজের নেতা ও কর্মীরা এক সময় উপদেষ্টা প্যানেলে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন, তবে তখন রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তাদের যুক্ত করতে চাইলে বিরোধী পক্ষ তা মানতে চাননি।
তখন বলা হয়েছিল, ‘‘এদের রাজনৈতিক পরিচয় দেখে উপদেষ্টা প্যানেলে নেওয়া যাবে না।’’ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একই রাজনৈতিক পরিচয় ধারণ করা এসব নেতারা আজ জাতীয় সরকারের কথা বলছেন।
একজন অভ্যুত্থান নেতা তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘‘আপনি রাজনৈতিক পরিচয় ধারণ করছেন, তাও কি শুধু হিংসার কারণে? আপনার অবস্থান ও পদক্ষেপগুলো দেখলে মনে হয়, শুধুমাত্র ক্ষমতার প্রতি আকাঙ্ক্ষা থেকেই এসব করা হচ্ছে।’’ তার ভাষায়, ‘‘আমজনতার দলের মুখপাত্র হিসেবে আমি স্পষ্টভাবে বলছি—ক্ষমতার জন্য দায়িত্ব গ্রহণ ও তার পরবর্তী সময়ের অপব্যবহার লজ্জাজনক।’’
এই ঘটনার মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান দ্বন্দ্ব ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, এবং এখন প্রশ্ন উঠছে, এই ধরনের আচরণ কি আসলেই দেশের কল্যাণে কাজ করবে কিনা।
আসিফ