ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, “চুপ্পু সাহেবের সাথে আমাদের কোনো প্রেম নাই। আমরা কখনোই তাকে স্বীকার করিনি এবং এখনও স্বীকার করি না। ৫ই আগস্টের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের পর আপনি তার কাছে শপথ নিলেন, অথচ এখন তাকে অবৈধ বলে সরিয়ে দিতে চান। তাহলে আপনার শপথটাই তো অবৈধ হয়ে যায়। এর দায় কে নেবে?”
তিনি বলেন, “চুপ্পু সাহেব আওয়ামী লীগের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মীর মতো আচরণ করেছেন। কিন্তু যেভাবেই হোক, তিনি এখন রাষ্ট্রপতি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামোর মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদ রয়েছে। যদি তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে এর সাংবিধানিক ব্যাখ্যা কী হবে? এতে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে।”
প্রিন্স আরও বলেন, “প্রবীণরা তরুণদের শক্তিকে বুঝতে পারছে না। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা তরুণদের নেই, এটাও স্বীকার করতে হবে। ৫ই আগস্ট আমরা সংবিধান দেখে আন্দোলন করিনি, বরং জনগণের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে আন্দোলন করেছি।”
তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “আপনারা বলছেন, বিএনপি সেনাবাহিনীর ডাকে সাড়া দিয়ে ক্যান্টনমেন্টে গিয়েছিল। হ্যাঁ, আমরা গিয়েছিলাম, কিন্তু দৌড়ে যাইনি। আমাদের ডাকা হয়েছিল, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমরা কখনোই বঙ্গভবনে এক কাপ চাও খাইনি, ক্যান্টনমেন্টেও দৌড়ে যাইনি। আমাদের মহাসচিবকে বিশেষ বাহিনীর মাধ্যমে ডেকে নেওয়া হয়েছিল, কারণ তখন যোগাযোগের সব মাধ্যম বন্ধ ছিল।”
প্রিন্স আরও বলেন, “আমাদের আন্দোলনের সময় আমরা আত্মগোপনে ছিলাম, কিন্তু আওয়ামী লীগ তখন রাজনৈতিক নেতাদের খুঁজতে শুরু করেছিল। আমরা কারো সাথে আপস করিনি, বরং আন্দোলন সংগঠিত করেছি।”
তিনি আওয়ামী লীগের ওপর অভিযোগ এনে বলেন, “আপনারা বলছেন, আমরা ১৫ বছরের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শেখ হাসিনার পতনের তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন করা সম্ভব ছিল। বিএনপি একটি সংগঠিত দল, আমাদের তিন মাসের বেশি সময় লাগে না নির্বাচনে অংশ নিতে। অতীতে এরশাদের পতনের পর মাত্র তিন মাসের মধ্যে বিএনপি নির্বাচন করে এবং জয়ী হয়েছিল।”
তিনি বর্তমান সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। আমরা যৌক্তিক সময় চেয়েছি, কিন্তু আপনারা তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন করেছেন। এই ছয় মাসেও কোনো সংস্কার হয়নি, উন্নতি হয়নি।”
প্রিন্সের ভাষায়, “আমরা তরুণদের সম্মান করি, কিন্তু রাজনৈতিক বাস্তবতা মেনে চলতে হবে। বিএনপি বরাবরই জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।”
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/WrMD52WVeq0?si=jxQFCffVRASNj3kB
এম.কে.